পুরীর মন্দিরের মাথার উপ ড্রোনের চক্করের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার মন্দিরের ভেতরের রীতিনিয়মের দৃশ্য সোজা চলে এল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শ্রীমন্দিরে প্রবেশের আগেই জুতো, ছাতা থেকে ক্যামেরা , ব্যাগ - জমা রেখে যেতে হয়। এটাই নিয়ম। সেখানে ড্রোন থেকে মন্দিরের রীতিনিয়মের ছবি তুলে পাবলিক করে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ! সংবাদ সংস্থা ইউএনআই সূত্রে খবর,এই কাজটি করা হয়েছে বাঙালি নামের একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে।
শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ভেতরের দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পুরী পুলিশের তরফে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে সিংহদ্বার থানায়। পুরীর পুলিশ সুপার বিনীত আগরওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন , ড্রোন ব্যবহার করে কে এবং কখন মন্দিরের ভেতরের কাজকর্ম সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করল, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। আর এতে মন্দিরের কোনও সেবায়েত জড়িত থাকলে, তার বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কী ঘটনা ঘটেছে ?
সম্প্রতি পুরীর শ্রীমন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান এবং ভেতরের দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপলোড হওয়ার পর তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। তা দেখে শ্রী জগন্নাথদেবের ভক্তরা কার্যত হতবাক। কারণ, মন্দিরের নীলচক্রের উপর ধ্বজা লাগানোর প্রক্রিয়া দেখানো নিষিদ্ধ। ঠিক এই দৃশ্যই সম্প্রতি এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছেন। সুরজিৎ বিশ্বাস নামে একজন তার ফেসবুক পেজে পুরো প্রক্রিয়াটি আপলোড করেছেন। আর সেই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ছড়িয়ে পড়েছে । ভিডিও ফুটেজ থেকেই স্পষ্ট, পুরো দৃশ্যটিড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে রেকর্ড করা হয়েছে, যা নিয়ম বিরুদ্ধ।
সন্দেহের আঙুল কোনও সেবায়েতের দিকেও?
ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন সম্প্রতি আশ্বাস দিয়েছেন মন্দিরের আশেপাশে ড্রোন উড়তে না দেওয়ার জন্য মন্দির প্রাঙ্গণে ড্রোন-বিরোধী প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে। মন্দিরের একজন প্রবীণ সেবায়েত কৃষ্ণ চন্দ্র খুন্তিয়া জানিয়েছেন, এই ড্রোনগুলি মন্দিরের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি উল্লেখ করেছেন,ভিডিওটিতে স্পষ্টভাবে একজন সেবায়েতকে পতাকামবাঁধতে দেখা যাচ্ছে । তিনি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে, সেবায়েতের শাস্তি দেওয়া উচিত, মনে করেন তিনি। অনেকের সেবায়েতের মতে,এখন এ ধরনের কাজ করলে শাস্তিমূলক যে বিধানগুলি রয়েছে, তা তেমন কড়া নয়। তাই এতো সাহস বাড়ছে ।