পরনে শুধুই কালো পোশাক। মুখও ঢাকা কালো মাস্কে। নির্বাচনে জিতলে তবেই মাস্ক খুলবেন, এমনই ধনুক-ভাঙা পণ নিয়েছিলেন পুষ্পম প্রিয়া। বিহারের রাজনীতিতে তিনি অন্যতম চর্চিত চরিত্র। বারবার বলেছেন, চান আসল পরিবর্তন। তাঁর ‘The Plurals Party’আগেও ভোটের ময়দানে নেমেছিল। সফল হননি, তবে হালও ছাড়েননি। লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফেরা পুষ্পম প্রিয়ার রক্তেই রাজনীতি। এবারও সাফল্য রইল অধরাই। বিহারে জয় না পাওয়া পর্যন্ত মাস্ক পরে থাকার শপথ নিয়েছিলেন. প্লুরালস পার্টির প্রধান পুষ্পম। কিন্তু দ্বারভাঙ্গা আসনে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন তিনি। ২০২৫ সালের বিহার নির্বাচনের ভোট গণনা এখনও চলছে। ২০২০ সালে এই আসনেই জিতেছিলেন বিজেপির সঞ্জয় সরোগি। ১৪ রাউন্ড গণনার পর এখন সরোগি এই আসনে এগিয়ে আছেন, বিকাশশীল ইনসান পার্টির (ভিআইপি) উমেশ সাহানি ২২,০০০ ভোটের বেশি ভোটে তার থেকে পিছিয়ে আছেন। পুষ্পম প্রিয়া সরোগির থেকে ৫৮,০০০ ভোটের বেশি ভোটে পিছিয়ে আছেন। ২০২০ সালে 'দ্য প্লুরালস পার্টি' প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে বারবার বলেছেন, তাঁর লক্ষ্য বিহারকে ধর্মীয় ও বর্ণগত বিভেদ থেকে মুক্ত করা। প্রতীকী ভাবে তিনি কালো পোশাক এবং মাস্ক পরে ঘুরতেন। দলটি রাজ্যের ২৪৩টি আসন থেকেই তিনি 'হুইসেল' প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু এবারও তিনি মাস্ক খোলার সুযোগ পেলেন না।
তাঁর বাবা জেডিইউর প্রাক্তন নেতা বিনোদ কুমার চৌধরীর মেয়ে। দাদা অধ্যাপক উমাকান্ত চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং সমতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন। তাঁর কাকা বিনয় কুমার চৌধুরী জেডিইউ নেতা । ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বেনিপুর থেকে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। আদ্যন্ত রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য প্রিয়ার পার্টি এখনও সাফল্য ছুঁতে পারল না। এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে ২৪৩টি আসনে প্রার্থী দাঁড় করান পুষ্পম প্রিয়া। তাঁর দলের প্রতীকচিহ্ন ‘City’। দ্বারভাঙা থেকে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন পুষ্পম প্রিয়া। কিন্তু এবারও দৌড়ে রইলেন পিছিয়েই।
ফের একবার, বিহারের কুর্সিতে নীতীশ কুমারই। রেকর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অভাবনীয় জয়, ধারে কাছে টিকতে পারল না বিরোধীদের মহাজোট। ঘরের মাঠেই হারলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। কোনও ফ্য়াক্টর হতে পারল না প্রশান্ত কিশোরের 'জন সুরাজ' পার্টি। দশম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল করে নীতীশ কুমার বুঝিয়ে দিলেন, টাইগার অভি জিন্দা হ্যায়।