বিহারের গণনায় বড় মার্জিনে এগিয়ে এনডিএ। সকাল সকাল ট্রেন্ড স্পষ্ট হতেই গেরুয়া আবির উড়ছে বিহারে। আরও জ্বলজ্বল করছে 'টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়' পোস্টার।
ম্যাজিক ফিগার ছাপিয়ে ১৯০ আসনে এগিয়ে এনডিএ জোট। মহাজোট এগিয়ে ৫০ টি আসনে। ২৪৩টি বিধানসভা আসন বিশিষ্ট বিহারে, সরকার গড়তে প্রয়োজন ১২২টি আসন। সেই ম্যাজিক ফিগার অনেক আগেই পার করেছে এনডিএ। বিজেপি ও জেডিউ, উভয় দলই আলাদা আলাদা ভাবে ৮০ র বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ এগিয়ে। সকাল থেকেই পার্টি অফিসের বাইরে উচ্ছ্বসিত কর্মীদের মুখ। বিজেপি নেতা মুকতার আব্বাস নকভির বার্তা, এটা জনতার রায়। বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। এক্সিট পোলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে ট্রেন্ড। বিহারের এই ফল নির্বাচনে লড়াই করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে গণতন্ত্রের শিক্ষা। জয়ের মিষ্টতা হোক বা পরাজয়ের স্বাদ, উভয়ই গণতন্ত্রের স্বাদ। সবসময় জয়ের মিষ্টতা পাওয়া যায় না।
এনডিএ-র জয়ের প্রবণতা দেখেই স্বস্তির হাসি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের মুখে। বললেন, প্রথম দিন থেকেই এটা স্পষ্ট ছিল বিহার বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি বা লুঠপাটের সরকারকে মেনে নেবে না। তিনি আরও বলেন, ভোটাররা শান্তি, ন্যায়বিচার এবং উন্নয়নকে বেছে নিয়েছেন। তেজস্বী যাদব ফল বেরোনোর আগেই শপথ অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। গিরিরাজ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সার্টিফিকেশন ছাড়া তারিখ নির্ধারণ করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, "...বিহার কি জিত হামারি হ্যায়, বেঙ্গল ওয়ালি দিদি আগলি বারি বেঙ্গল কি হ্যায়"।
২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা ভোট। বিহারেই সারা দেশে প্রথম SIR হয়েছিল। বাংলাতেও শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন। এসআইআরের সরাসরি বিরোধিতা করেছে শাসক দল। এই পরিস্থিতিতে বিহারে এনডিএ-র জয়ের ট্রেন্ড নিঃসন্দেহে গুরুত্ববহ। বিহার-জয়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে গিরিরাজের হুঙ্কার, বাংলা থেকেও অবৈধ বাংলাদেশী, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে। পরের লক্ষ্য বাংলা।
পুনর্নির্বাচন ছাড়াই এবার বিহার ভোটের গণনা হচ্ছে। ২০০৫ সালে হিংসা-কারচুপির জন্য বিহারের ৬৬০টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে হিংসা-কারচুপির জন্য ৪বার বিহারে ভোট স্থগিত করা হয়।