নয়া দিল্লি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) কলমেই প্রকাশিত হয়েছিল ভার‍তের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem)। তবে এর প্রকাশকালের সঠিক সময়টি অজানাই থেকে গিয়েছে পান্ডুলিপি না পাওয়ার কারণে। তবে ১৯১১ এর ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় (Kolkata) আয়োজিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে সমবেত কণ্ঠে এই গানটি প্রথম গাওয়া হয়েছিল। দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে গানের রিহার্সাল হয়েছিল ডক্টর নীলরতন সরকারের বাসভবনে। স্বাধীনতার পর এই গানের ফার্স্ট  সেই বছর মাঘোৎসবেও। কিন্তু এই গানের যে ইংরেজি অনুবাদও রয়েছে তা স্বল্পশ্রুতই।                                                     


রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনের প্রাক্কালে নোবেল প্রাইজের ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে সেই ছবিটি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'জন গণ মন'-এর ইংরেজি অনুবাদ রেখেছিলেন 'The Morning Song Of India' নামে। অনেকে হয়ত বলবেন, এই গানের ইংরেজি অনুবাদ তো পাওয়াই যাবে। কিন্তু তা তো দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো অবস্থা। কারণ, রবীন্দ্রনাথ নিজেই লিখে গিয়েছিলেন এই গানের অনুবাদ।                                    


উল্লেখ্য, দ্য বেঙ্গলি পত্রিকায় গানটির ইংরেজি অনুবাদসহ এই সংবাদের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আদি ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার মাঘ ১৩১৮ সংখ্যা অর্থাৎ জানুয়ারি ১৯১২ সংখ্যায় ভারত-বিধাতা শিরোনামে প্রকাশিত এই গানটি ব্রহ্মসঙ্গীত আখ্যায় প্রচারিত হয়েছিল।


নোবেল প্রাইজের অফিসিয়াল পেজ থেকে সেই পাণ্ডুলিপির ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'জন গণ মন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। যা কম্পোজ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। এটি জন গণ মন-এর ইংরেজি অনুবাদ।' 


ইতিমধ্যেই এই পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। এই নতুন তথ্য জানতে পেরে অনেকেই মোহিত হয়েছে।  



১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে প্রথম জনগণমন গানটির নাম প্রস্তাব করেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জুলাই আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের কথা ঘোষণা করা হয় এবং সেই দিনই প্রথম জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে জনগণমন গাওয়া হয়। 


আরও পড়ুন, ফ্রিজে রাখা তরমুজ খাচ্ছেন গরমে? ভুলেও এই ভুল করবেন না!