ঘটনা কী? বুধবার দুদিনের রাজ্য সফরে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আর রবীন্দ্রনাথের জন্মভূমিতে এসে তাঁর জন্মস্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। আর তা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্য সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মন্তব্য করেন, রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বিশ্বভারতী। তাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে পথে নামছে তৃণমূল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতা সহ রাজ্যের সর্বত্র আমরা লজ্জিত, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী স্লোগান তুলে মিছিল-সমাবেশ করবেন দলের নেতা, কর্মীরা। এর আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নামে তৃণমূল। একুশের ভোটের আগে এবার রবীন্দ্র-জন্মস্থান নিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল।
টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, ‘’কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালে জোড়াসাঁকোতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং তার ৬০ বছর পরে ১৯২১ সালে তিনি বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন। বহিরাগতদের বাংলায় আসার আগে বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য জেনে আসা উচিত।‘’
উল্লেখ্য, রাজ্য সফরে এসে ভবানীপুর এবং ডায়মন্ড হারবারে যান তিনি। ডায়মন্ড হারবারে জে পি নাড্ডার সভা ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। আমতলা থেকে শিরাকোল অবরোধ করে তৃণমূল। দফায় দফায় আটকানো হয় নাড্ডার কনভয়। ইটবৃষ্টিও হয়। নাড্ডার কনভয় সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙে। সরিষার কাছে ভাঙচুর চলে যাত্রীবাসেও। আমতলা থেকে শিরাকোল পর্যন্ত রাস্তায় দফায় দফায় বাধার মুখে পড়ে কনভয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, পাথর ছোড়া হয় শীর্ষ বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়িতে। উড়ন্ত বোতলের ঘায়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাচ ভেঙে আহত হন এক নিরাপত্তাকর্মী।
এরপরই আসরে নামে কেন্দ্র। কনভয়ে হামলাকাণ্ডে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট তলব করে। সেই রিপোর্ট পেশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের রিপোর্টে যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কড়া পদক্ষেপ নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তলব করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক।