মুম্বই: করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা কনিকা কপূরের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। এ বিষয়ে এই গায়িকা জানিয়েছেন, ‘আমি যখন লখনউয়ে যাই, তখন সেখানে কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত কোনও নিয়ম চালু হয়নি। আমি দু’টি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিই। কোনও অনুষ্ঠানেরই আমি আয়োজক ছিলাম না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যাচ্ছেতাইভাবে আক্রমণ করা হয়। এমনকী, আমার সন্তানদেরও অনেকে খারাপ ভাষায় মেসেজ পাঠান। ওরা সেই সময় লন্ডনে ছিল। অনেকে ওদের মেসেজ পাঠিয়ে আত্মহত্যা করতেও বলেন।’

এ বছরের মার্চে করোনা আক্রান্ত হন কনিকা। সেই সময় তাঁকে নিয়ে দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি যতক্ষণে হাসপাতালে ভর্তি হই, ততক্ষণে শরীর অনেকটা ঠিক হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে যাওয়ার পর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তখন হয়তো আমার শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল না। আমি সেটা জানি না। চিকিৎসকরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। আমার ৩ কিলো ওজন কমে যায়। সেই সময় আমার খিদে পাচ্ছিল না, কোনও স্বাদ পাচ্ছিলাম না, গন্ধও পাচ্ছিলাম না। আমাকে ভিটামিন দেওয়া হয়। ২ সপ্তাহ পরে আমাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সময় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে অনেকটা সময় লাগে।’

কনিকা আরও জানিয়েছেন, ‘আমার যৌথ পরিবারকে যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটা দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছিল। প্রতিবেশী, বন্ধুদের ঘৃণ্য আচরণের মুখে পড়তে হয় সবাইকে। কোনও ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের প্রতি যে এই ধরনের অসংবেদনশীল আচরণ করা যায়, সেটা আমি ভাবতে পারিনি। আমাকে কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, সেটা কেউ ভাবেনি। সেই সময় পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কেউ আমার পাশে ছিল না। এটা বড় শিক্ষা। সত্যিটা না জেনেই অনেকে নানা মন্তব্য করে।’

সন্তানদের সঙ্গে কয়েকমাস লন্ডনে কাটানোর পর মুম্বইয়ে ফিরে এসেছেন কনিকা। তিনি ফের কাজ শুরু করেছেন। মঞ্চে পারফর্ম করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই গায়িকা। তিনি জানিয়েছেন, রাগপ্রধান গান রেকর্ড করেছেন। অনেকেরই জানা নেই, তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখেছেন। এই গান রেকর্ড করে তাঁর খুব ভাল লেগেছে।