নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এবার ময়দানে নামলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। ৩ কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে একটি মেমোরেন্ডাম জমা দিয়েছেন তিনি, যাতে ২ কোটি দেশবাসী সই করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এদিন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং গুলাম নবি আজাদ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর রাহুল কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলছি, দাবি না মানা পর্যন্ত কৃষকরা আন্দোলন জারি রাখবেন।


রাহুল বলেন, আমরা ৩ জন আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছি। কোটি কোটি মানুষের সই করা চিঠি দিয়েছি।এটা শুধু সই নয়, দেশের কন্ঠস্বর। শীতের মধ্যে আন্দোলন করতে করতে প্রাণ হারাচ্ছেন কৃষকরা। যে কোনও শক্তিই কৃষক এবং শ্রমিকদের শক্তির সামনে নগন্য। এই আইনগুলি প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা না করলে শুধু আরএসএস বা বিজেপি নয়, সারা দেশ ভুগবে। মোদির লক্ষ্য কীভাবে ২-৪জন শিল্পপতিকে ধনী করা যায়। যখনই মোদির বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বলেছেন, তখনই তাঁদের দেশদ্রোহী বলা হয়েছে।এমনকি মোহন ভাগবতও কাল মোদির বিরুদ্ধে মুখ খুললে তাঁকেও দেশদ্রোহী বলা হবে।


রাষ্ট্রপতি ভবনে পর্যন্ত মিছিল করে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেস নেতা নেত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা সহ আটক করা হয় একাধিক কংগ্রেস নেত্রীকে। প্রিয়ঙ্কা বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বাস করি যেখানে সাংসদদের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার অধিকার নেই। কী সমস্যা সরকারের? আন্দোলনকারী কৃষকদের কথা শোনার সময় নেই কেন্দ্রের। কোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সন্ত্রাসের তকমা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কৃষকদের সমর্থনে মিছিল করতে চেয়েছিলাম। হরিয়ানার কংগ্রেস সভাপতি কুমারি সেলজা, দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেনুগোপাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কুলদীপ বিষ্ণোই, মহারাষ্ট্রের নেতা এইচ কে পাতিল বিজেপি কখনও বলে আমরা বিরোধী হিসেবে দুর্বল। আবার ওরা বলে আমরা কৃষক আন্দেোলনকে প্রভাবিত করছি। ওদের আগে ঠিক করা উচিত আমরা আসলে কী।