নয়াদিল্লি: মোদি-পদবী বিতর্কে (Modi Surname Row) এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ কংগ্রেস নেতা রাাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। অপরাধমূলক মানহানি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করায় স্থগিতাদেশ দেয়নি গুজরাত হাইকোর্ট। তাতেই এবার সরাসরি দেশের শীর্ষ আদালতে গেলেন রাহুল। সেখানে স্থগিতাদেশ হলে সাংসদপদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। 


এ বছরের গোড়ার দিকে রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হয়, ছেড়ে দিতে হয় সরকারি বাসভবনও


মোদি-পদবী মন্তব্যে এ বছরের গোড়ার দিকে রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হয়। তড়িঘড়ি সরকারি বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশও চলে আসে, যা মেনে নেন রাহুল। তবে আইনি লড়াই থেকে সরে আসেননি তিনি। গুজরাতের নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে গেলেন।


২০১৯ সালের লোকসভা  নির্বাচনের প্রচারে কর্নাটকে মোদি-পদবী নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, দেশত্যাগী ললিত মোদি, নীরব মোদিচর প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন। গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি তাতে রাহুলের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেন।


আরও পড়ুন: Ritu Karidhal Srivastava: শুধু গলাবাজি নয়, মেধাতেই দুরমুশ করেছেন পিতৃতন্ত্রকে, ‘রকেট উওম্যান’রিতু চন্দ্রযান-৩ অভিযানের নেপথ্যনায়িকা


কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, চার বছর পুরনো সেই মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে গুজরাতের আদালত। তার পর থেকে আইনি লড়াই চলছে। যদিও হাত গুটিয়ে বসিয়ে নেই পূর্ণেশও। আগে থেকেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দিয়ে রেখেছেন তিনি, যাতে রাহুল হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানালে, তাঁর যুক্তিও শোনে শীর্ষ আদালত।


চার বছর পুরনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাহুলকে


এর আগে, রাহুলের আবেদন খারিজ করে গুজরাত হাইকোর্ট জানায়, রাজনীতির শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের সংযত হওয়া উচিত। যদিও আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। রাাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে যদি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে থাকেন রাহুল, সেখানে অন্য়ের দায়ের করা মানহানি মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় কী করে, সাত তাড়াতাড়ি সাংসদপদই বা খারিজ হয় কোন যুক্তিতে, প্রশ্ন তুলেছে তারা।


সংসদে গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বোঝাপড়া নিয়ে সরব হওয়াতেই প্রতিহিংসাবশত, পুরনো মামলাকে হাতিয়ার করে রাহুলের সাংসদপদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ হাতশিবিরের। যদিও রাহুল নিজে এসব কাটাছেঁড়ায় যেতে নারাজ। তাঁকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে মেনে নিলেও, সংসদের বাইরে থেকেও একই ভাবে মানুষের জন্য লড়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।