নয়াদিল্লি: মোদি পদবী নিয়ে কটাক্ষ করে সাংসদ পদ গিয়েছে। তবে নিজের অবস্থানে অনড় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শনিবার ফের কেন্দ্রীয় সরকার তথা নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলাতেই সাংসদ পদ গিয়েছে বলে দাবি করলেন তিনি। একই সঙ্গে ফের একবার প্রশ্ন তুললেন, আদানির সংস্থায় ঘুরপথে ২০ হাজার কোটি বিনিয়োগ কার ছিল বলে (Narendra Modi)।
কেন্দ্রীয় সরকার, সর্বোপরি মোদিকে নিশানা করেন রাহুল
শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার, সর্বোপরি মোদিকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, "সংসদে আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম, আদানির ভুয়ো সংস্থায় ২০ হাজার কোটি টাকা কে বিনিয়োগ করল? ওই ২০ হাজার টাকা আসলে কার টাকা? আমার ভাষণ সংসদের রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়। লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখেছিলাম। কিছু মন্ত্রী আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন যে আমি নাকি বিদেশি শক্তির সাহায্য চেয়েছি? তেমন কিছুই করিনি আমি। সাংসদ হিসেবে তার জবাব দেওয়ার অধিকারও দেওয়া হয়নি আমাকে। কিন্তু প্রশ্ন বন্ধ থামাব না আমি। প্রধানমন্ত্রী এবং আদানির মধ্যে কী সম্পর্ক, জানতে চাইবই।"
আরও পড়ুন:
শুধু তাই নয়, আদানি-প্রশ্ন এড়াতেই, দেশের মানুষের নজর ঘোরাতেই এত নাটক বলে এ দিন দাবি করেন রাহুল। তাঁর কথায়, "আমার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে কারণ আমার পরবর্তী ভাষণ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওঁর চোখে ভয় দেখেছি আমি। তাই আমি সংসদে কথা বলি, ওঁরা চান না। আসলে আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই এতকিছু। এই সরকারের জন্য় আদানিই দেশ, দেশই আদানি।"
ভুয়ো সংস্থা মারফত আদানি গোষ্ঠীতে ২০ হাজার কোটি বিনিয়োগ কার, প্রশ্ন রাহুলের
এ দিনও চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন রাহুল। অভিযোগ করেন, ঘুরপথে ভুয়ো সংস্থা মারফত আদানির সংস্থায় টাকা ২০ হাজার টাকা গিয়েছে। বেশ কিছু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির সংস্থা তাতে বিনিয়োগ করেছে। অথচ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে এ নিয়ে কোনও জবাব নেই। রাহুলের অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে 'আদানিই দেশ, দেশই আদানি'।
এ দিন, রাহুল আরও বলেন, "আগে একাধিক বার বলেছি, দেশের গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানা হচ্ছে। প্রতি দিন একটি করে উদাহরণ উঠে আসছে। সংসদে প্রধানমন্ত্রী এবং আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। সেই বক্তব্যই বাদ দেওয়া হয়েছে সংসদের রেকর্ড থেকে। কিছু মন্ত্রী আমার নামে মিথ্যে বলে চলেছেন। অথচ সাংসদ হিসেবে তার জবাব দেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।"