নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবে আজ লোকসভায় প্রথম বক্তা রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, বিরোধী সাংসদের বলার জন্য ১২ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ ঘণ্টা। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাব ছাড়াও বাজেট এবং পেগাসাস ইস্যুতেও বলতে পারেন রাহুল। ইতিমধ্যেই যুব কংগ্রেস পেগ্যাসাস ইস্যুতে সংসদের বাইরে বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছে।
এরইমধ্যে রাজ্যসভার দুই বাম সাংসদ পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭ ফেব্রুয়ারি লোকসভা এবং ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় বিতর্কের জবাব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করার পরই টুইট করে রাহুল গান্ধী এই বাজেটকে অন্তঃসারশূণ্য বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। এদিকে রাহুলের টুইট প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পাল্টা তোপ দেগে বলেন, ‘তাঁর (রাহুল গান্ধী) আগে বাজেট বোঝা উচিত।’ বাজেটের সমালোচনা করেছেন রাহুল গাঁধী। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, M0di G0vernment এর Zer0 সাম বাজেট! এদের জন্য কিছুই না - বেতনভোগী শ্রেণী - মধ্যবিত্ত - দরিদ্র ও বঞ্চিত - যুব সমাজ - কৃষক - এমএসএমই।
বাজেট নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য এই বাজেট একটা শূন্য মাত্র। বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতিতে এমনিতেই জর্জরিত সাধারণ মানুষ। এই বাজেটে শুধু বড় বড় কথা বলা হয়েছে। কোনওকিছুই কেন্দ্রের এই বাজেটে গুরুত্ব পায়নি, পেগাসাস-স্পিন বাজেট'।
এই বাজেটের কড়া সমালোচনা করেছেন সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি প্রশ্ন তুলেছে, ' এই বাজেট কার জন্য? ১০ % ধনী মানুষের হাতে দেশের মোট সম্পদের ৭৫ %। নীচের দিকের ৬০% মানুষের হাতে ৫%ও নেই, বেকারত্ব, দারিদ্র, ক্ষুধা ক্রমশ বেড়েছে। কিন্তু তারপরেও এই অতিমারীতে যাঁরা সবথেকে বেশি লাভ করেছেন তাঁদের ওপর কর চাপবে না কেন?’