নয়াদিল্লি: সাংসদ পদ যাওয়ার পর সরকারি বাংলোও ছেড়ে দিতে হয়েছিল। তার পর থেকে মায়ের আশ্রয়েই রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। দিল্লিতে এবার নিজের জন্য পৃথক ছাদের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হলেন রাহুল। আর গোড়াতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দরজা খুলে গেল তাঁর জন্য। গোটাটাই সংযোগ বলে মনে করছেন সকলে। (Rahul Gandhi New Home)


মোদি-পদবী মামলায় সাংসদ পদ হারিয়েছেন রাহুল। তার পর সাংসদদের জন্য নির্ধারিত সরকারি বাংলো ছেড়ে দিতে হয়েছে তাঁকে। সাত তাড়াতাড়ি কিছু ব্যবস্থা না করতে পেরে জিনিসপত্র নিয়ে সটান মা, কংগ্রেস সাংসদ সনিয়ার বাসভবনে গিয়ে ওঠেন রাহুল। তবে সাময়িক সেখানে আশ্রয় নিলেও, দিল্লিতে নিজের পৃথক থাকার জায়গা খুঁজছেন রাহুল।


একটি ভাড়াবাড়ি ইতিমধ্যেই তাঁর পছন্দ হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। সেখানে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  তথা প্রয়াত কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিতের ফ্ল্যাটের দরজা খুলে গেল রাহুলের জন্য। তিনটি ঘরবিশিষ্ট ওই ফ্ল্যাটে বর্তমানে শীলার ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত সপরিবারে থাকেন।


আরও পড়ুন: Lok Sabha Polls 2024: বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় বৈঠক বিরোধীদের, সংঘাত ভুলে AAP-কে নৈশভোজে আমন্ত্রণ সনিয়ার, থাকছে ২৪টি দল


তিন কামরার ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে অন্যত্র উঠে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সন্দীপ। সেই মতো ফ্ল্যাটের বাইরে নোটিসও ঝোলন তিনি। রাহুলের অনুগামীদের নজরে পড়লে যোগাযোগ করা হয়। ঠিকানা জানতে পেরে রাহুলও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কারণ শীলার অত্যন্ত স্নেহভাজন রাহুল, ছোট থেকে একাধিক বার ওই বাড়িতে গিয়েছেন। ভাড়াটিয়া হিসেবে ওই বাড়িতেই রাহুল শেষ মেশ উঠতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।


তবে রাহুলের পছন্দ হলেও, তিনি শীলার ওই ফ্ল্যাটে থাকতে পারবেন কিনা, তা নির্ভর করছে সরকারের উপর। কারণ রাহুল জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। ওই ফ্ল্যাট আদৌ রাহুলের জন্য নিরাপদ কিনা, কোনও বিপদে পড়লে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে কিনা, সবদিক খতিয়ে দেখে ছাড়পত্রের প্রয়োজন পড়বে। তা পেলে তবেই সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন রাহুল।


চার বছর আগে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদি-পদবী নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল। তার জেরে অপরাধমূলক মানহানি মামলা দায়ের হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলে, রাহুলের সাংসদপদ বাতিল হয়ে যায়। সরকারি বাংলো ছেড়ে দিতে হয় প্রায় পর পরই। সেই সময় দলের নেতা-কর্মী তো বটেই সাধারণ মানুষও রাহুলকে নিজের বাড়িতে স্বাগত জানান। তবে কোথাও না গিয়ে, নিজের একান্ত আশ্রয় খুঁজছেন রাহুল।