নয়াদিল্লি: সংসদে গৌতম আদানির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সরকারি সম্পত্তি কেন এক এক করে তুলে দেওয়া হচ্ছে শিল্পপতির হাতে, জানতে চেয়েছিলেন। সেই প্রশ্নেই কেন্দ্রীয় সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর দাবি, সংসদে ফের যাতে আদানিকে নিয়ে কোনও ভাষণ দিতে না পারেন তিনি, তার জন্যই সাংসদ পদ বাতিল করা হয়েছে তাঁর। 


শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন রাহুল


শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ফের কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য়,  "আমার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে কারণ আমার পরবর্তী ভাষণ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওঁর চোখে ভয় দেখেছি আমি। তাই আমি সংসদে কথা বলি, ওঁরা চান না। আসলে আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই এতকিছু। এই সরকারের জন্য় আদানিই দেশ, দেশই আদানি।"


সাংসদ পদ কেড়ে নিয়ে, ভয় দেখিয়ে তাঁকে দমানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন রাহুল। বলেন, "চিরতরে আমাকে খারিজ করে দিন ওঁরা, আজীবন জেলে ভরে দিন, আমি আমার কাজ করে যাব। লড়াই চলবে।" তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে আসলে মোদি সরকার বিরোধীদের সুবিধাই করে দিয়েছেন বলেও মত রাহুলের। 


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: ‘এই দেশই সব দিয়েছে, সাংসদ থাকি, না থাকি, দায়িত্ব পালন করে যাব’, ঘোষণা রাহুলের


২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কর্নাটকে মোদি পদবী নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল। নীরব মোদি, রাহুল মোদিদের প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন তুলেছিলেন, "সব চোরের পদবী মোদি হয় কী করে?" তাতেই গুজরাতের বিজেপি নেতা রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানি (অপরাধমূলক) মামলা দায়ের করেন। রাহুল আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মোদি পদবী ব্যবহারকারী সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ করে বিজেপি। 


আদালত যদিও ৩০ দিন সময় দিয়েছে রাহুলকে উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য


আদালতে যদিও রাহুল জানিয়েছিলেন, রাজনীতিক হিসেবে রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ওই মন্তব্য করেন তিনি। কাউকে আঘাত করা তাঁর অভিসন্ধি ছিল না। কেউ তাঁর মন্তব্যে ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি। যদিও সুরতের জেলা আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু'বছরের সাজা শোনায়। তার পরদিনই সাংসদ পদ চলে যায় তাঁর। আদালত যদিও ৩০ দিন সময় দিয়েছে রাহুলকে। তার মধ্যে উচ্চ আদালতে স্বস্তি পেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেত পারবেন রাহুল।