নয়াদিল্লি: চার বছর পুরনো মানহানি (অপরাধমূলক) দু'বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত। পরে জামিন পেলেও, সাংসদ পদ টিকিয়ে রাখা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু তিনি 'সত্যের পথেই' থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi)। গুজরাতের সুরত আদালতে সাজা ঘোষণা এবং তার পর জামিন মঞ্জুর হতেই নিজের মনের কথা তুলে ধরলেন (Rahul Gandhi Defamation Case)। 


৩০ দিনের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে রাহুলকে


বৃহস্পতিবার গুজরাতের সুরতের জেলা আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে দু'বছরের সাজা শোনানো হয়। এর পর সাময়িক জামিন মঞ্জুর করা হয় রাহুলের। তাঁকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন রাহুল। তবে দু'বছরের সাজা হয়েছে যেহেতু, তাই রাহুলের সাংসদ পদ ধরে রাখা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। 


কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকবেন বলেই এ দিন ইঙ্গিত দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল। আদালতের রায়ের পরই ট্যুইটারে মুখ খোলেন তিনি।  মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃত করে লেখেন, 'সত্য এবং অহিংসাই আমার ধর্ম। আর সত্যই আমার কাছে ঈশ্বর। আর অহিংসা হল ঈশ্বরকে পাওয়ার সাধনা'। এ দিন আদালতেও রাহুল জানান, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। তাঁর মন্তব্যে ক্ষতিও হয়নি কারও।



আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: মোদি পদবী নিয়ে কটাক্ষ, মানহানি মামলায় দোষী, সাময়িক জামিন পেলেন রাহুল


এ দিন রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও। ট্যুইটারে হিন্দিতে লেখেন, 'কাপুরুষ, স্বৈরাচারী বিজেপি সরকার রাহুল গান্ধী এবং বিরোধীদে ভয় পেয়েছে। কারণ আমরা ওদের কর্মকাণ্ড প্রকাশ করে দিচ্ছি। সংসদে যৌথ তদন্ত চাইছি। রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে মোদি সরকার। তাই ইডি পাঠায়, পুলিশ পাঠায়, বক্তৃতা নিয়ে মামলা দায়ের করে। উচ্চ আদালতে আবেদন জানাব আমরা'।


২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। সেই সময় কর্নাটকের কোলারে প্রচারে গিয়ে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। নীরব মোদি থেকে ললিত মোদি, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়েও মন্তব্য করেন। সেখানে কটাক্ষের সুরে রাহুলকে বলতে শোনা যায়, "কাকতালীয় ভাবে সব চোরেদের পদবী মোদি হয় কী করে?"


চার বছর পুরনো মানহানি মামলায় রায় আদালতের


রাহুলের এই মন্তব্যেই বিতর্ক বাধে। দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাহুল আসলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বলে দাবি করে বিজেপি। তাতে রাহুলের বিরুদ্ধে (অপরাধমূলক) মানহানির মামলা করেন গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেন্দু মোদি।পূর্ণেন্দুর অভিযোগ ছিল, গোটা মোদি সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়।