নয়া দিল্লি : বিরোধী নেতাদের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন এড়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। মন্তব্য করলেন না তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের সম্ভাবনা নিয়েও। এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, আজ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করার সময় নয়। আমি করোনায় নজর দিতে চাই। করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে কীভাবে দেশকে রক্ষা করা যাবে সেদিকে নজর দিতে চাই। 


কোভিড মোকাবিলা নিয়ে দলের তরফে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছেন তিনি। রাহুল বলেন, আমার লক্ষ্য সেদিকে দৃষ্টিপাত করা যেখানে সরকারের কাজ করা উচিত বলে মনে হচ্ছে। 


দিল্লিতে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজনীতিতে যা চলছে তা নিয়ে আমি আপনাকে বা নিজেকে বিভ্রান্ত করতে চাই না। এনিয়ে আলোচনার সময়, জায়গা সবই আছে। তখন তা নিয়ে কথার বলতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।


গতকাল দিল্লিতে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করেন শরদ পাওয়ার। দুই সপ্তাহে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসেন তাঁরা। তার পরই বিরোধী বৈঠকের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আজ শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠক হয়। বৈঠকের আয়োজক রাষ্ট্র মঞ্চের আহ্বায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যশবন্ত সিনহা।


বৈঠকে তাঁরা ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন- সপার ঘনশ্যাম তিওয়ারি, রাষ্ট্রীয় লোক দলের সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, আম আদমি পার্টির নেতা সুশীল গুপ্ত, সিপিআই নেতা বিনয় বিশ্যম এবং সিপিএম নেতা নীলোৎপল বসু।


বৈঠক শেষে এনসিপি নেতা মজিদ মেমন বলেন, মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট করার জন্য রাষ্ট্র মঞ্চের এই বৈঠক আহ্বান করেছেন শরদ পাওয়ার। কিন্তু আমি জানিয়ে দিতে চাই, এটা ঠিক নয়। বৈঠকটি পাওযারের বাড়িতে হয়েছে। কিন্তু, উনি বৈঠক ডাকেননি। বৈঠকটি ডেকে ছিলেন রাষ্ট্র মঞ্চের প্রধান যশবন্ত সিনহা। অন্য প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কর্মীদের নিয়ে তিনি মিটিংয়ের আয়োজন করেছিলেন। এটা বলা হচ্ছে যে, শরদ পাওয়ার বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং কংগ্রেসকে বয়কট করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।