নয়াদিল্লি: ‘রবিবার ভেবেছি সোশাল মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেব!’
এই একটি ট্যুইট। তাই নিয়েই তোলপাড় দেশ! কেন এমন পোস্ট করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী? যিনি কি না সোশ্যাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত সক্রিয়। সবসময় ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার কথা বলেন! আমেরিকা সফরে ফেসবুকের সদর দফরে পৌঁছে গিয়েছিলেন মোদি।

নরেন্দ্র মোদির ট্যুইটের কারণ নিয়ে যখন সারা দেশ জল্পনায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই রাহুল গাঁধী দিলেন উত্তর...ট্যুইট করেই।
‘সোশাল মিডিয়া নয়, ঘৃণা ছাড়ুন।’


সোমবার রাত ৮টা ৫৬। আচমকা প্রধানমন্ত্রীর একটা ট্যুইট।
‘রবিবার ভেবেছি সোশাল মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেব!’

দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবরটা। মুহূর্তে সব ছেড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠল এই ট্যুইট। ঘোষণা করে!
কেন এমন ঘোষণা?

নানা মহলের নানা মত। সোশাল মিডিয়ায় গুজব-অপপ্রচারে হতাশ হয়েই কি এই সিদ্ধান্ত? নাকি ফেসবুক, ট্যুইটারে বহু মানুষের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে?সেসব কিছুই অবশ্য লেখেননি তিনি।

বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির থেকেও আসতে শুরু করে প্রতিক্রিয়া।  রাহুল গাঁধী ট্যুইট করেন, ‘সোশাল মিডিয়া নয়, ঘৃণা ছাড়ুন।’

সঙ্গে সঙ্গে ট্যুইটে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় কর্নাটক বিজেপির।


‘ভারতের শাসনভার এখন রাজীব ফিরোজ গাঁধী বা এডভিগ আন্তোনিয়া অ্যালবিনা মেইনো (সনিয়া গাঁধীর আসল নাম)-র হাতে নেই। এখন দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আশা করি, এই সত্যিটা আপনারা বুঝবেন। ’

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা ট্যুইট করেন,

‘মাননীয় মোদিজি, আমাদের একান্ত ইচ্ছে, আপনি সম্মিলিত ট্রোল-বাহিনীকে এই পরামর্শ দিন। যারা আপনার নাম করে প্রতি মুহূর্তে অপমান করে, হুমকি দেয়। দেশের নাগরিকবৃন্দ ’


কটাক্ষ করেছেন অধীর চৌধুরীও। বলেন, বোধ বাজার মাপতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম-ও।  সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দিল্লি হিংসার ঘটনার পর সারা বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে। সেই কারণেই কি মোদির এই সিদ্ধান্ত? নাকি কোনও হতাশা?
সত্যিই কি সোশাল মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন মোদি? ডিজিটাল দুনিয়াকে কি বিদায় জানাবেন তিনি? উত্তর দেবে সময়।