নয়াদিল্লি : 'নিজের অধিকার নিয়ে কোনওরকম কুসংস্কার পোষণ না করে আপনার চিঠিতে লেখা বার্তা মেনে চলব', পাল্টা বার্তা রাহুল গাঁধীর। সাংসদ পদ খারিজের পর কংগ্রেস নেতাকে তাঁর বাংলো খালি করে দিতে বলেই চিঠিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন লোকসভার সচিব। যার পাল্টা বার্তা দিয়েছেন রাহুল। বাংলো খালি করে দেওয়ারই ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, মানহানির মামলায় ২ বছরের কারাদণ্ডের জেরে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই সাংসদ (MP) হিসেবে দিল্লির (Delhi) তুঘলক লেনে যে বাংলো ছিল সনিয়া-পুত্রের, তা অবিলম্বে খালি করার নোটিস (Notice) পাঠানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী। মানহানি-মামলায় ২ বছরের সাজা ঘোষণা করে সুরাত জেলা আদালত। পরে আদালত থেকেই জামিন পান কংগ্রেস সাংসদ। তবে ২ বছরের সাজা ঘোষণায়, সাংসদ পদ খোয়াতে হয় রাহুলকে। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের সময় কর্ণাটকে সভা করতে গিয়ে রাহুল কটাক্ষ করেন, সব চোরেদের পদবি কী করে মোদি হয়। রাহুলের এই মন্তব্যেই বিতর্ক শুরু হয়। রাহুল আসলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বলে দাবি করে বিজেপি। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। কড়া নিরাপত্তায় আজ সকালে সুরাত জেলা আদালতে পৌঁছন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর উপস্থিতিতেই রায় শোনায় আদালত।
এর পর অবশ্য রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারী কেরলের বাসিন্দা আভা মুরলীথরন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী। এই ধারা অনুযায়ী, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক যদি ২ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর পদ খারিজ হয়ে যাবে। এই নিয়মেই রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করেছে লোকসভার সচিবালয়। মামলাকারীর দাবি, এভাবে কোনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া সাংবিধানিকভাবে বেআইনি।
আরও পড়ুন- চাকুরিজীবীদের জন্য সুখবর, বাড়ল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার