নয়াদিল্লি: শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে যাত্রার সময় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় বিতর্কে মুখে রেলমন্ত্রক। স্পেশাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর খবরের জেরে বিহার ও গুজরাত সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। নোটিস পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব ও রোল বোর্ডের চেয়ারমানকেও।
এই প্রেক্ষিতে এক নির্দেশিকা জারি করল রেল মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, যে সব পরিযায়ী শ্রমিকের কো-মর্বিডিটি বা কোনওরকম অসুস্থতা আছে তারা যেন ট্রেন-সফর এড়িয়ে চলেন। হাই ব্লাডপ্রেসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের শিকার বা ক্যান্সার রোগী, তাঁদের ট্রেনে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে রেলমন্ত্রক। ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, ১০ বছরের কম বয়সি শিশু ও ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিরা একান্ত প্রয়োজন ছাড়া রেলযাত্রা এড়িয়ে চলুন। তবে ওই নির্দেশিকায় বলা নেই, যাঁদের হাই ব্লাড প্রেসার বা ডায়াবেটিস রয়েছে, সেই পরিযায়ী শ্রমিকরা কীভাবে বাড়ি ফিরবেন।
প্রচণ্ড গরমে খাবার ও জলের অভাব, দীর্ঘ যাত্রা, ইত্যাদি কারণে ট্রেনে একাধিক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর গত কয়েকদিনে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, সেই খবরের ভিত্তিতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নোটিস পাঠিয়েছে বিহার ও গুজরাত সরকারকে। জাতীয় মানবাধিকার সূত্রে দাবি, ৪ বছরের এক শিশু সহ বিহারের মুজাফফরপুরে, দানাপুর, সাসারাম, গয়া, বেগুসরাই এবং জেহানাবাদে বেশ কয়েকজন ট্রেনযাত্রী পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাতের সুরাত থেকে বিহারের সিওয়ানে আসতে একটি ট্রেনের সময় লেগেছে ৯ দিন। এই সব খবর সত্যি হলে তা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সূত্রে দাবি। ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।