শিলং : বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে "ফল ভুগতে" হবে। আগেই পরিবারকে সতর্ক করে দিয়েছিল সোনম রঘুবংশী। রাজা কুশওয়ার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় প্রথম থেকেই মনে একরাশ ক্ষোভ ছিল সোনমের। এমনই খবর পুলিশ সূত্রের। নিজের বিবৃতিতে রাজার দাদা বিপিন বলেছেন, সোনম ওর মা-কে রাজের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানিয়েছিল। ওদের পারিবারিক ব্যবসায় কাজ করত রাজ। কিন্তু, সোনমের মা এই সম্পর্কে আপত্তি জানান। তিনি নাকি তাঁদের সমাজেই বিয়ে করার কথা বলেন বলে দাবি।

এই সূত্র বলেছে, "বিপিন অভিযোগ করেছেন যে, সোনম আপোস করে রাজাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু, ফল ভুগতে হবে বলে সতর্কও করে দিয়েছিল। ও বলেছিল, 'ওর(রাজা রঘুবংশী) সঙ্গে কী করি তুমি দেখে নিও। তোমাদের সবাইকে ফল ভুগতে হবে।' কেউ ভাবতে পারেনি যে ও (সোনম) রাজাকে মেরে ফেলবে।"  

পুলিশের কাছে বিপিনের জবানবন্দির বিবরণ এমন একটা সময়ে সামনে এসেছে যখন সোনম, রাজ এবং তার তিন সহযোগীর রাজাকে হত্যার ঘটনা সারা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। সোনম এবং রাজা মেঘালয়ে তাদের মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে "নিখোঁজ দম্পতি" হিসাবে এই কেস শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে একের পর এক রোমহর্ষক তথ্য সামনে আসছে। উত্তর-পূর্বের রাজ্য থেকে রাজা ও সোনমের হদিশ মিলছিল না। কিন্তু, প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসার পর ধীরে ধীরে অন্যদিকে মোড় নেয় ঘটনাটি। মামলায় অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে উঠে আসে রাজের নাম।

বিপিন অভিযোগ তুলেছেন যে, রাজা-কে খুন করার পর রাজের সঙ্গে হোটেলের একটি ঘরে ছিল সোনম। পরে তাকে মধ্যপ্রদেশের হোমটাউন ইন্দোরে পাঠিয়ে দেয় সে। সেখানে সোনম দুই দিন ছিল।

গত ১১ মে বিয়ে হয়েছিলে ২৪ বছরের সোনম ও ২৯ বছরের রাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সোনমকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। সোনমের পরিবারের ফার্নিচার শিট ইউনিটের অ্যাকাউনটেন্ট হিসাবে কাজ করত রাজ। পারিবারিক সেই ব্যবসার দেখভাল করত সোনম। ইন্দোরে বিয়ের পর, রাজা ও সোনম হানিমুনের জন্য মেঘালয় চলে যায়। ২৩ মে থেকে তাদের খোঁজ মিলছিল না। ২ জুন রাজার মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নংরিয়াত গ্রামে একটি হোমস্টে থেকে বেরিয়ে আসার কয়েক ঘণ্টা পর।