জয়পুর: শুক্রবার অশোক গহলৌত নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে রাজস্থান বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনবে বিজেপি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন রাজস্থান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক গুলাব চাঁদ কাটারিয়া। এদিন রাজ্য বিজেপির পরিষদীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বৈঠকের পর কাটারিয়া জানান, আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন। তার আগে এদিনই অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ একদিকে রাজ্যে বাড়ছে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে বিজেপিকে জড়ানোর যে প্রয়াস করা হয়েছে। এর জন্য পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতারও করানো হয়েছে। কিন্তু সেই প্রয়াসে সরকার ব্যর্থ।


কাটারিয়ার মতে, যদিও কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সঙ্কট মিটে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও দলের একাংশ পূবদিকে তো অন্য অংশ পশ্চিমে। যা একেবারে কাঙ্খিত নয়। এসব বিষয়গুলিই রাখা হবে অনাস্থা প্রস্তাবে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনাই জানিয়েছেন, অনাস্থা প্রস্তাব শুক্রবারি আনা হবে।


রাজস্থান বিধানসভায় বিজেপি ও তার শরিক দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি মিলিয়ে মোট সদস্য সংখ্যা ৭৫। তাঁদের মধ্যে ৭৪ জন এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি দফতরে ওই বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং রাজ্যে বিজেপির ভারপ্রাপ্ত নেতা অভিনাষ খন্না সহ একাধিক শীর্ষনেতা।


পুনিয়া জানিয়েছেন, আগামীকাল, তাঁদের এবং শরিক দলের সব বিধায়ক অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন দেবেন। কংগ্রেসের সঙ্গে ৬ বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) বিধায়কের গাঁটছড়া নিয়ে সম্প্রতি রাজস্থান সরকারের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক মদন দিলবর। তিনি দাবি করেন, কংগ্রেস সরকার সেখানে কোমায় চলে গিয়েছে। সরকার কোনওমতে টিকে রয়েছে। এমতাবস্থায় মানুষের হিতে কোনও কাজ হবে না।


প্রসঙ্গত, গতমাসে ১৮ জন বিধায়ককে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সচিন পায়লট। যার জেরে তাঁকে প্রদেশ সভাপতি ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করে কংগ্রেস। একমাস ধরে চলা সঙ্কটের পর রাজস্থান কংগ্রেসর সমস্যার সমাধান হয়।