নয়া দিল্লি: রাজস্থানে একটি টেম্পো ট্রাভেলার বাস পার্ক করা একটি ট্রেলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজধানী জয়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে ভারত মালা হাইওয়ের মাতোদা গ্রামের কাছে ফালোড়ি জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।পুলিশের মতে, নিহতরা যোধপুরের সুরসাগর এলাকার বাসিন্দা এবং কপিল মুনি আশ্রমে প্রার্থনা শেষে বিকানেরের কোলায়ত মন্দির থেকে ফিরছিলেন। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা।
যোধপুরের পুলিশ কমিশনার ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, "ঘটনাস্থলেই পনেরো জন যাত্রীর মৃত্যু হয়, এবং দুই মহিলা গুরুতর আহত হন। আহতদের প্রথমে ওসিয়ানের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে যোধপুরে রেফার করা হয়"।
ধাক্কা এতটাই তীব্র ছিল যে টেম্পো ট্র্যাভেলারের সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়, যার ফলে অনেক যাত্রী ভেতরে আটকা পড়েন। উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ১০ জন মহিলা এবং চার জন শিশু। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই প্রবল ছিল যে, পুলিশকে দেহ উদ্ধার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। বাসের সিটে আটকে গিয়েছিল মহিলা ও শিশুদের ছিন্নভিন্ন দেহ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় হাইওয়েতে ঘন কুয়াশা ও যানজটের কারণে দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছিল। সেই কারণেই দেখতে না পেরে সরাসরি ধাক্কা মারে। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মাথরা থানার পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, আহত দুজনকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাতেই এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে লেখেন, ‘‘রাজস্থানের দুর্ঘটনায় এত মৃত্যুর খবরে আমি শোকাহত। এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’’ মৃতদের পরিবারের জন্য দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।