ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মীদের দাবি, ওই দুই নেতা ২০১৮-র রাজস্থান বিধানসভা ভোটের টিকিট বন্টনে দুর্নীতি করেছেন। জনৈক বসপা কর্মী বলেন, নেতাদের আচরণে হতাশ কর্মীরা। ৫ বছর ধরে তাঁরা মাঠে-ময়দানে রয়েছেন, কিন্তু টাকার বিনিময়ে বিজেপি, কংগ্রেস থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা লোকজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বসপা কর্মী, নেতাদের উপেক্ষা, শোষণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে তিনবার বিক্ষোভ দেখালেও রাজ্যের শীর্ষনেতারা বসপা সভানেত্রী মায়াবতীকে কিছু জানাননি। তাই বাধ্য হয়েই এসব করতে হল।
এদিকে এ ঘটনার জেরে দলের রাজস্থান রাজ্য কমিটি ভেঙে দিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন মায়াবতী। ট্যুইটে তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস প্রথমে বসপা বিধায়কদের মধ্যে ভাঙন ধরাল, এখন আমাদের আন্দোলনের ক্ষতি করতে প্রথম সারির দলীয় নেতাদের ওপর হামলা করাচ্ছে। এটা সবচেয়ে নিন্দনীয়, লজ্জাজনক। কংগ্রেস আন্দোলনের বিরুদ্ধে খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। মানুষ এর যোগ্য জবাব দিতে পারেন। কংগ্রেসের এমন নোংরা নাটক থেকে বিরত থাকা উচিত।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে রাজস্থানে ৬ জন বসপা বিধায়কই দলত্যাগ বিরোধী আইনের গেরো থেকে বাঁচতে একযোগে কংগ্রেসে যোগ দেন। মায়াবতীর এদিন সেই ইস্যুই তোলেন।
২০১৮-র রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে কিছুটা দূরে থমকে যায় কংগ্রেস। বসপার সমর্থনে সরকার গড়ে তারা।