নয়াদিল্লি: রাজস্থানে আতশবাজি বিক্রি করলে অথবা পোড়ালে আর্থিক জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে যে কোনও মূল্যে আতশবাজি পোড়ানো এবং বিক্রি বন্ধ করতে চায় সরকার। ধনতেরাসে বাজি না পোড়ানোর জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। একইসঙ্গে তাঁর আবেদন, দিওয়ালিতেও যেন বাজি পোড়ানো থেকে আমজনতা বিরত থাকেন।
অশোক গহলৌত সরকার আগেই কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজস্থানে বাজি পোড়ানো এবং বিক্রির নিষিদ্ধ করেছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা আইনভঙ্গ করবেন, তাঁদের আর্থিক জরিমানা করা হবে। আতশবাজি পোড়ালে ২ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে এবং যেসব দোকানদার বাজি বিক্রি করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অর্থদণ্ডের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা।
দিনকয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন, ধনতেরাস ও দীপাবলি উপলক্ষে এ বছর যেন সব ধরনের বাজি পোড়ানো থেকে তাঁরা বিরত থাকেন। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ধনতেরাস ও দিওয়ালিতে আমজনতা তাঁদের প্রিয়জনের সঙ্গে বাড়িতে বসে আলোর উৎসব উদযাপন করেছেন। কেউ আতশবাজি পোড়াননি। এটা আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। আজ রাতেও আতশবাজি বাদ দিয়েই দীপ জ্বালিয়ে পরিজনের সঙ্গে আলোক উৎসবে সামিল হোন।
রাজ্যবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, আতশবাজির ক্ষতিকারক ধোঁয়া কোভিড-১৯ রোগী এবং ওই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষদের পক্ষে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। কোভিড-১৯ আক্রান্তের বায়ুদূষণের ফলে হার্ট এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। রাজস্থান ছাড়াও মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লিতেও আতশবাজি বিক্রি এবং পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।