জয়পুর: রাজস্থানের রাজনৈতিক নাটকে নয়া মোড়। এবার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বিদ্রোহী সচিন পায়লটের অনুগামী দুই বিধায়ক, বিশ্বেন্দ্র সিংহ ও ভানওয়ারলাল শর্মাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সাসপেন্ড করল কংগ্রেস। রাজস্থানে বিধায়ক কেনাবেচায় জড়িত বলে অভিযোগ তুলে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতের গ্রেফতারিও দাবি করেছে।


আজ তিন ব্যক্তির কথোপকথনের একটি অডিও টেপ প্রকাশ করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা দাবি করেন, তাতে যাঁদের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন বিধায়ক ভানওয়ারলাল শর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেখাওয়াত ও জয়পুর নিবাসী জনৈক সঞ্জয় জৈন। সাংবাদিক বৈঠকে দুই বিধায়কের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সুরজেওয়ালা বলেন, আমরা চাই, শেখাওয়াতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে  সুষ্ঠু তদন্ত হোক। যদি তিনি সরকারি পদ, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে প্রমাণ মেলে (যা প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে), তবে অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত। পায়লট শিবিরের বিধায়ক ভানওয়ারলাল শর্মা, বিজেপি নেতা সঞ্জয় জৈনের নামেও এফআইআর করার দাবি তুলে তিনি বলেন, ওঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

রাজ্যে কালো টাকা ঢোকার অভিযোগ তুলে সুরজেওয়ালা তদন্তের দাবি করেন। বলেন, কে,  কোথা থেকে টাকা পাঠিয়েছে,  হাওয়ালার মাধ্যমে এসেছে কি না, এসব তদন্ত করে দেখা দরকার। সুরজেওয়ালার আরও দাবি, যেসব প্রথম সারির নেতা, কর্তাব্যক্তি ও এজেন্সি নিজেদের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছেন, তাদেরও উন্মোচিত করা উচিত তদন্তের মাধ্যমে। পাশাপাশি তিনি বলেন, পায়লটেরও উচিত, প্রকাশ্যে আসা অডিও টেপে ‘বিধায়ক তালিকা’ নিয়ে যে আলোচনা শোনা যাচ্ছে, তা নিয়ে  ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের অবস্থান খোলসা করা। টাকা নিয়ে অশোক গেহলৌত সরকারের পতন ঘটানোর চক্রে আর কোনও বিধায়ক বা ব্য়ক্তি জড়িত কিনা, সেটাও তদন্ত করা উচিত।

এদিকে পায়লট তাঁর ও অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সি পি জোশীর দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় জারি করা সদস্যপদ খারিজের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। স্পিকার আজকের মধ্যে তাঁদের জবাব চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট বিষয়টি দুই বিচারকের বেঞ্চে পাঠিয়েছে।  পায়লটের পক্ষে মামলা লড়ছেন শীর্ষ আইনজীবী হরিশ সালভে। স্পিকারের পক্ষে সওয়াল করবেন অভিষেক মনু সিংভি।

সালভে ইতিমধ্যেই পায়লটের বিরুদ্ধে জারি নোটিস বেআইনি বলে দাবি করেছেন।