নয়াদিল্লি: শেষ মুহূর্তে শিবির বদল করেছেন বহু জন। রাজ্যসভা নির্বাচনের ফলাফলে বড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে বলে জোর জল্পনা। সেই আবহেই রাজ্যসভার প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এল। নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন রাজ্যসভার প্রার্থীরা, তাতে ৩৬ শতাংশের বিরুদ্ধেই অপরাধ মামলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (Rajya Sabha Elections 2024)


অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (ADR) এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ সংগঠন, ১৫টি রাজ্যের ৫৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জনের হলফনামা পরখ করে দেখেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ৩৬ শতাংশ প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে থাকা অপরাধ মামলার উল্লেখ করেছেন। স্পষ্ট বোঝা না যাওয়ায় কর্নাটক থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী জিসি চন্দ্রশেখরের নথিই শুধুমাত্র পরখ করে দেখা যায়নি। (Rajya Sabha Candidates)


জানা গিয়েছে, যে ৩৬ শতাংশ নিজেদের বিরুদ্ধে থাকা অপরাধ মামলার উল্লেখ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ১৭ শতাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। খুনের চেষ্টার মামলাও রয়েছে একজনের বিরুদ্ধে। BJP-র ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন, কংগ্রেসের ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন, তৃণমূলের ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে এক জন, সমাজবাদী পার্টির তিন জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন, YSRCP-র ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ জন, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ জন, বিজু জনতা দলের ২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ জন, BRS-এর ১ জন প্রার্থী হলফনামায় নিজেদের বিরুদ্ধে থাকা অপরাধ মামলার উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।


আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2024: এই দলের হয়ে ভোটে লড়তে চেয়ে আবেদন ১০ হাজারের বেশি মানুষের !


রাজ্যসভার ৫৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ শতাংশ কোটিপতি বলেও জানা গিয়েছে, যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি। গড়ে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ১২৭.৮১ কোটি টাকা করে। এর মধ্যে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫৭৮ কোটি টাকা। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী জয়া বচ্চনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫৭৮ কোটি টাকা বলে দেখানো হয়েছে হলফনামায়। JD(S)-এর কুপেন্দ্র রেড্ডির মোট সম্পত্তি ৮৭১ কোটি টাকার।


সবচেয়ে 'দরিদ্র' প্রার্থী BJP-র বলযোগী উমেশ নাথ। উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭ লক্ষ বলে দেখানো হয়েছে হলফনামায়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে BJP-র প্রার্থী হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। হলফনামায় ১ কোটি টাকার সম্পত্তির উল্লেখ করেছেন তিনি। ১৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ। ৭৯ শতাংশ স্নাতক বা উচ্চশিক্ষিত। ৭৬ শতাংশের বয়স ৫১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৬ শতাংশ ৩১ থেকে ৫০ এববং মহিলা প্রার্থী শুধুমাত্র ১৯ শতাংশ।