কলকাতা : নাম বিভ্রাট । তিনিও অজিত মাইতি। তিনি বিধায়ক। দল তৃণমূলই। কিন্তু তিনি সেই অজিত নন, যে অজিতের বিরুদ্ধে হাতে ঝাঁটা-লাঠি তুলে নিয়েছিল সন্দেশখালি। যাঁর গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাপ ছড়িয়েছিল সন্দেশখালিতে। নিজের দলেরই এক নেতার সঙ্গে হবহু এক নাম হওয়ার হ্যাপা হোপাতে হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতা ও বিধায়ককে। 


বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। আর সেখান থেকেই  ভিডিও বার্তা দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতা ও বিধায়কের। তিনি উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন যে, সন্দেশখালিকাণ্ডে যে অজিত মাইতি  গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে তাঁকে। কোথাও কোথাও তাঁর ছবিও ব্যবহার হয়ে গিয়েছে। তাই তাঁর এই ভিডিও- বার্তা। 


বিধায়ক অজিত মাইতির বার্তা, এই ভ্রান্তিতে তিনি অস্বস্তিতে।  সামাজিক ভাবে তিনি বিব্রত। কী বলেছেন বিধায়ক?  


বিধায়ক অজিত মাইতিকে ভিডিও দেখা গিয়েছে , তিনি শুয়ে রয়েছেন। জানিয়েছেন, গত ১৫-২০ দিন ধরে তিনি অসুস্থ। গত ৮ দিন ধরে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি।  একেবারেই শয্য়াশায়ী । হার্ট সংক্রান্ত কিছু সমস্যা আছে তাঁর। অপারেশনও হয়েছে। সবেই আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে ট্রান্সফার করা হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি জানতে পেরেছেন এই নাম সংক্রান্ত ভ্রান্তির কথা। 


তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, তিনি সন্দেশখালি যাওয়া তো দূরের কথা, সন্দেশখালির তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি কোনও অঞ্চল সভাপতি নন, তিনি এক অখণ্ড জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এবং তিনি বিধায়ক। পরিচিত মুখ বা নাম অনেকের কাছে। উপরন্তু তিনি হাসপাতালে ভর্তি। ডাক্তাররা কবে ছাড়বেন, তাও জানেন না তিনি। তাই এই প্রচারটা ভ্রমবশত কেউ কেউ করে থাকতে পারে। কিংবা কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেও এটা করে থাকতে পারেন। তাই তিনি এই ভ্রম সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছেন। 
 
এর পরেও যদি কেউ প্রচার করেন তাঁর ছবি দিয়ে, তাহলে তিনি ধরে নেবেন কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই কাজ করছেন। সবশেষে তিনি হাত জোড় করে অনুরোধ জানিয়েছেন, ভুল ছবি ব্যবহার না করার জন্য। 


সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার জনতার তাড়া খেয়ে পালিয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে আশ্রয় নেন অপসারিত বেড়মজুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। এর প্রায় ৫ ঘণ্টার মধ্য়ে তাঁকে আটক করে পুলিশ। আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।