অযোধ্যা: রাম মন্দিরের শিলান্যাস করুন নরেন্দ্র মোদি। এমনই দাবি তুলল অযোধ্যা সদ্ভাবনা সমন্বয় মহাসমিতি। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন সংগঠনের অধ্যক্ষ অমরনাথ মিশ্র। সেখানে তিনি লেখেন, মন্দিরের শিলান্যাসের জন্য মোদির চেয়ে ভাল কেউ হতেই পারে না। সংগঠনের আরও দাবি, মুসলিমদের জন্য তৈরি হতে চলা মসজিদের ভূমিপুজোও করুন মোদি।
গত শনিবার, সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে রামলালার জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে, মসজিদ নির্মাণ করতে মুসলিমদের পাঁচ একর জমি দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই অযোধ্যা জুড়ে যেন সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে। কান পাতলেই চারদিকে রাম মন্দির সংক্রান্ত আলোচনা শোনা যাচ্ছে। রামলালার দর্শনে ভক্তকূলের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।
রাম জন্মভূমি ন্যাসের দফতরে তৎপরতাও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এখানে মন্দিরের পাথর খোদাইয়ের কাজ চলে। গত ২৬ বছর ধরে সেই কাজ নিরন্তরভাবে হয়ে চলেছে। মন্দির আন্দোলনের সময়ে দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় শিলা-পুজো হয়েছিল। তারপর সেই সব ইট এখানে এনে রেখে দেওয়া হয়েছে। রয়েছে রাম মন্দিরের প্রস্তাবিত মডেলও। যার এক ঝলক দেখার জন্য রাম-ভক্তদের মেলা লেগে গিয়েছে।
শুধু অযোধ্যা সদ্ভাবনা সমন্বয় মহাসমিতি নয়। অযোধ্যবাসীও চান, রাম মন্দিরের শিলান্যাস করুন প্রধানমন্ত্রী। রাম জন্মভূমি ন্যাসের সাধু-সন্তদের দাবিও তাই। সকলের মতে, রামনবমীর মুহূর্ত সবচেয়ে শুভ। তাঁরা চান, ওইদিন প্রধানমন্ত্রী মন্দিরের প্রথম পাথর স্থাপন করুন। আগামী বছর ২ এপ্রিল রামনবমী।
তবে, এখনও পর্যন্ত অযোধ্যা থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাঝে প্রচারের জন্য একবার স্রেফ ফৈজাবাদ গিয়েছিলেন। তবে, রামলালা দর্শন করেননি। অযোধ্যাবাসীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদি মন্দিরের ভূমিপুজো করুন এবং রামলালার দর্শন করুন। অযোধ্যা সদ্ভাবনা সমন্বয় মহাসমিতির আরও দাবি, মসজিদের নাম মসজিদ-এ-ইমাম-এ-হিন্দ রাখা হোক। তাদের যুক্তি, মুসলিম সমাজ শ্রীরামকে ইমাম-এ-হিন্দ বলে ডেকে থাকে।