নাগপুর : নতুন বছরের শুরুতেই উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ayodha Ram Mandir)। আরএসএসের বার্ষিক বিজয়াদশমী উৎসব থেকেই এই ঘোষণা করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। জানিয়ে দিলেন উদ্বোধনের দিনও।


বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election)। তার আগে রামমন্দির ইস্যুকে সামনে রেখে যখন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের তাস ধর্মীয় মেরুকরণ। তখনই সামনে এল রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনক্ষণ। দশমীর দিন সঙ্ঘের সদর দফতর থেকে উদ্বোধনের দিন ঘোষণা করলেন আরএসএস প্রধান। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যায় রামমন্দিরের। ওই দিন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হবে রামের মূর্তি। নাগপুরে আরএসএসের বার্ষিক বিজয়াদশমী উৎসব থেকে এই ঘোষণা করলেন মোহন ভাগবত। 


আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এদিন বলেন, 'অযোধ্যায় রামের মন্দির তৈরি হচ্ছে। ২২ জানুয়ারি নিজের মন্দিরে প্রবেশ করবেন রামলালা। ওইদিন গোটা দেশে আমরা নিজেরা নিজেদের জায়গায় ছোট ছোট মন্দিরে এই বাতাবরণ তৈরি করতে পারি।'


এদিকে, মণিপুরে হিংসার ঘটনায় সংসদে তোলপাড় হয়ে যাওয়ার পর এই নিয়ে প্রথম সামনে এল সঙ্ঘের বক্তব্য। মণিপুরে হিংসার ঘটনায় 'বাহ্যিক শক্তির' যোগ আছে বলে দাবি করলেন সঙ্ঘ প্রধান। আরএসএস প্রধানের বক্তব্য, 'বহু বছর ধরে মেইতেই ও কুকিরা একসঙ্গে বসবাস করছে। হঠাৎ করে হিংসার ঘটনা কী করে ঘটল ? এই অশান্তিতে বাইরের শক্তি লাভবান হয়। এতে বাইরের প্রভাব আছে।'


আর মোহন ভাগবতের এই মন্তব্যের পরই সঙ্ঘ প্রধানের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি বলেছেন, 'মণিপুরের ঘটনায় যেভাবে মোহন ভাগবত বাহ্যিক শক্তির চক্রান্ত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুতর। যদি এটা হয়ে থাকে তবে তা পুরোপুরি কেন্দ্রের মোদি সরকারের ব্যর্থতা। কারণ সীমান্ত রক্ষা ও বহিরাগত শক্তিকে হিংসা ছড়ানো থেকে আটকানোর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের।'


এদিকে, এই নিয়ে আরএসএসকে নিশানা করে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা  ও সাংসদ জয়রাম রমেশ এক্স হ্য়ান্ডলে পোস্ট করেছেন, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে কেন প্রধানমন্ত্রী দেখা পর্যন্ত করলেন না, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় তাঁরই দল অথবা তাঁর দলের জোটসঙ্গী ? সব মিলিয়ে, দশেরার দিন সঙ্ঘ প্রধানের বক্তব্য ঘিরে আন্দোলিত হল জাতীয় রাজনীতি। 


আরও পড়ুন- দশেরার অনুষ্ঠানে 'দশ সঙ্কল্প', জাতপাত এবং আঞ্চলিকতা প্রতিরোধে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর