নয়া দিল্লি: অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে শ্রীলঙ্কা (Srilanka) জুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে মাহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksa)। তার পর থেকেই দেশের পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়েছে। রাজধানী কলম্বোয় হিংসা দমনে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। রাস্তায় রাস্তায় সেনার টহল চলছে। মোতায়েন করা হয়েছে সাঁজোয়া গাড়িও। সেই পরিস্থিতিতে রনিল বিক্রমসিংঘেই (Ranil Wickremesinghe) ফের শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হলেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই শপথ নিচ্ছেন ইউএনপি দলের সুপ্রিমো, এমনটাই খবর। প্রসঙ্গত, অতীতে চার বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন। বুধবারই রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন, ‘টাকা এখান থেকে তুলে নিয়ে ভাগ বসায়’, অভিযোগ করে মোদিকে চিঠি মমতার
রিপোর্ট অনুযায়ী, আজই বিক্রমাসিংহের শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। বিক্রমাসিংহে তার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) একমাত্র বিধায়ক যিনি ২০২০ সালের অগাষ্টের নির্বাচনে রাজাপক্ষকে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে পরাজিত করেছিলেন। রনিল বিক্রমাসিংহে তার ভারতপন্থী অবস্থানের জন্য পরিচিত। আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কাকে সঙ্কট থেকে উত্তরণের দায়িত্ব যাঁর কাঁধে বর্তাচ্ছে সেই ৭৩ বছর বয়সী রনিল বিক্রম সিংহে অতীতে চার বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার সামলেছিলেন।
১৯৯৩ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু এক বছরের মতো ক্ষমতায় ছিলেন। পরে ২০০১ থেকে ২০০৪, ২০১৫ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলনেতার দায়িত্বভারও পালন করেছিলেন। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ হিসেবে পরিচিত রনিল বিক্রমসিংহে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন অনেকটাই প্রশমিত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।