নয়াদিল্লি: গরুর বর্জ্য ব্যবহার নিয়ে এবার বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের। রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাথিরিয়ার দাবি, রোগ প্রতিরোধে গোবরই রক্ষাকবচ। এটি যে বিকিরণ রোধ করে, তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। বিকিরণ-রোধে রেডিয়েশন চিপ হিসেবে গোবরকে মোবাইল ফোনেও ব্যবহার করা যেতে পারে।


সোমবার একটি গোবর দিয়ে তৈরি একটি "চিপ" প্রকাশ করেন বল্লবভাই কাথিরিয়া। দাবি করেন, এই চিপ মোবাইলের রেডিয়েশন বা বিকিরণ অনেকটাই কমিয়ে ফলতে সক্ষম। দেশব্যাপী কামধেনু দীপাবলি অভিযানের সূচনা করেন কাথিরিয়া। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হল গোবর-জাত পণ্যের প্রসার ঘটানো।


কাথারিয়া বলেন, দেখুন এটা রেডিয়েশন চিপ। আপনি আপনার মোবাইলে এটা রাখতে পারেন। আমরা দেখেছি, যদি এই চিপ মোবাইলে রাখা হয়, তাহলে তা ক্ষতিকারক বিকিরণ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। যদি আপনি রোগ এড়াতে চান, তাহলে এটা ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। গোসত্ত্ব কবচ নামে ওই চিপ তৈরি করেছে রাজকোটের শ্রীজি গৌশালা।


প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গঠিত রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ কেন্দ্রীয় মৎস্য পশুপালন ও দুগ্ধজাত পণ্য মন্ত্রকের অধীনে। এই দফতরের প্রধান লক্ষ্য হল গরুর সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও উন্নয়ন। সম্প্রতি, বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে বলতে শোনা গিয়েছে, আয়ুর্বেদিক কারণে তিনি প্রতিদিন গোমুত্র পান করেন।


এই বিষয়টিকে উত্থাপন করে কাথারিয়া যোগ করেন, আপনারা সম্প্রতি শুনেছেন হয়ত, অভিনেতা অক্ষয় কুমার কী বলেছেন। এটা ওষুধ। কিন্তু আমরা আমাদের বিজ্ঞান ভুলে গিয়েছি। তবে, আমরা এখন একটা প্রকল্প শুরু করেছি। সেখানে সেই বিষয়গুলি নিয়ে চর্চা হচ্ছে, যেগুলিকে মিথ হিসেবে মনে করা হয়।


গোবর থেকে তৈরি হওয়া বিভিন্ন জিনিস প্রদর্শন করে কাথারিয়া দাবি করেন, গোবরে বিকিরণ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এটা সবকিছু রক্ষা করে। আপনি এটা ঘরে রাখলে, আপনার বাসা বিকিরণ-মুক্ত হবে। এটা বিজ্ঞান দ্বারা অমুমোদিত বলেও দাবি করেন তিনি।


তিনি যোগ করেন, দেশে ৫০০-র বেশি গোাশালায় তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ বিকিরণ-রোধক চিপ। এক-একটির দাম ৫০-১০০ টাকা। এমনকী, ওই চিপ সুদূর মার্কিন মুলুকে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সেখানে এক-একটি চিপ ১০ মার্কিন ডলারে বিক্রি করা হচ্ছে।