মুম্বই: নয় নয় করে একমাস হতে চলল রতন টাটা নেই। এবার সামনে এল তাঁর উইল, যেখানে নিজের সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্য, সহযোগী, প্রিয় পোষ্য ছাড়াও উইলে নাম রয়েছে রতন টারা বন্ধু শান্তনু নায়ডুর। ৩১ বছর বয়সি শান্তনুর সঙ্গে ৮৬ বছরের রতন টাটার নিখাদ বন্ধুত্ব ছিল। রতন টাটার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন শান্তনু। তাঁর জন্য কী রেখে গিয়েছেন রতন টাটা, এবার জানা গেল। (Ratan Tata's Will)


মোট ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন রতন টাটা। সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে আলিবাগের ২০০০ বর্গ কিলোমিটারের বাংলো, মুম্বইয়ের জুহুর দোতলা বাড়ি, ৩৫০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, টাটা সন্সে ০.৮৩ শতাংশ অংশীদারিত্ব, টাটা গ্রুপের অংশীদারিত্ব, যা Ratan Tata Endowment Foundation-এ হস্তান্তরিত হবে। (Shantanu Naidu)


উইলে আজীবন পোষ্য টিটোর যত্ন নেওয়ার কথা লিখে গিয়েছেন রতন টাটা। গত পাঁচ-ছ'বছর ধরে রতন টাটার সঙ্গে ছিল টিটো। উইলে লেখা রয়েছে, যতদিন বেঁচে থাকবে টিটো, তার খাওয়া-দাওয়া, স্বাস্থ্য সবকিছুর খেয়াল লাখা হবে। দীর্ঘ দিন ধরে রতন টাটার হেঁশেলের দায়িত্বে ছিলেন যে রাজন শ', তাঁকে টিটোর দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


দুই সৎ বোন, শিরিন এবং ডিয়ানা জিজিভয়ের নাম রয়েছে রতন টাটার উইলে। নাম রয়েছে গৃহসহায়ক, সহযোগীদের। দীর্ঘ ৩০ বছর রতন টাটার সেবায় নিযুক্ত ছিলেন যে সুবাইয়া, তাঁর নামও রয়েছে উইলে। বিদেশ-বিভুঁই যেখানেই যেতেন রতন টাটা, সুবাইয়ার জন্য উপহার আনতে ভুলতেন না।  ভারতে অন্তত আর কোনও ধনকুবের নিজের উইলে পোষ্য থেকে গৃহ সহায়কদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে গিয়েছেন বলে জানা যায় না।


পাশাপাশি, উইলে শান্তনুর নামও নজর কেড়েছে সকলের। জানা গিয়েছে, শান্তনুর সংস্থায় এতদিন যে অংশীদারিত্ব ছিল রতন টাটার, তা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। বিদেশে পড়াশোনার জন্য যে ঋণ নিয়েছিলেন শান্তনু, তা-ও মিটিয়ে দিয়ে গিয়েছেন রতন টাটা। পোষ্যর প্রতি ভালবাসা থেকেই রতন টাটা এবং শান্তনুর মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে টাটায় যোগদান শান্তনুর, রতন টাটার বিশ্বস্ত হয়ে ওঠা। অসুস্থ অবস্থাতেও শান্তনুর স্টার্টআপের সূচনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রতন টাটা। শান্তনুর সংস্থায় ঠিক কত টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন রতন টাটা, যা যদিও স্পষ্ট নয়।