নয়া দিল্লি: নতুন করে ২০০০ টাকার নোটের জোগান দেবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০২১-'২২ অর্থবর্ষে বন্ধ রাখা হবে ২০০০ টাকার নতুন সাপ্লাই। গত অর্থবর্ষে একই কাজ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ২৬ মে নিজেদের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে Reserve Bank Of India (RBI)। সেখানেই উঠে এসেছে এই তথ্য।


কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বাৎসরিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগের থেকে পেপার ক্যাশের জোগান সামান্য কমেছে বাজারে। ২০২১ সালের অর্থবর্ষে এই পেপার ক্যাশের পরিমাণ কমেছে ০.৩ শতাংশ (২,২৩,৩০১ লক্ষ পিস)। আগের বছরে যা ছিল ২,২৩,৮৭৫ লক্ষ পিস। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৫০০ ও ২০০০ টাকা এখন দেশের ইকোনমিক সার্কুলেশনের সর্বাধিক মূল্যবান মুদ্রা। ব্যাঙ্ক নোট সার্কুলেশনের ৮৫.৭ শতাংশ মূল্যই এই দুই মুদ্রার ওপর নির্ভরশীল। গত বছরের থেকে এবার সংখ্যাটা সামান্য বেশি ৮৩.৪ শতাংশ।


সব ব্যাঙ্ক নোটের সার্কুলেশনের ভিত্তিতে সবার ওপরে রয়েছে ৫০০টাকা। যা একাই ব্যাঙ্ক নোট সার্কুলেশনের ৩১.১ শতাংশ। কয়েক বছরে ধরেই নোটবন্দির সর্বাধিক মুদ্রা নতুন করে জোগান দেয়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত বছরই নিজেদের অ্যানুয়াল রিপোর্টে ২০০০ টাকার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। সেখানে বলা হয়, ২০২০ অর্থবর্ষে একটাও ২০০০ টাকার নোটি ছাপায়নি আরবিআই। মূলত, নোটের নিরাপত্তার কারণেই এই হাই ভ্যালুর নোট ছাপানো বন্ধ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।


পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০০০টাকার নোটের সার্কুলেশন কমতে থাকে। মার্চের ৩৩,৬৬২ লক্ষ পিস থেকে তা ২০১৯ সালের মার্চের শেষে কমে দাঁড়ায় ৩২,৯১০ লক্ষ পিস। একই অবস্থা হয় ২০২০ সালের মার্চে শেষে। সেই বছর ২৭,৩৯৮ লক্ষ পিসে এসে পৌঁছায় ২০০০ টাকা।


দেশের অর্থনীতির অতীত বলছে, ২০১৬ সালে হঠাৎই নোটবন্দির ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয় পুরোনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। মোদি সরকার দাবি করে, কালো টাকা পুনরুদ্ধারে এই কাজ করেছে কেন্দ্র। এই নোটবন্দির পরই বাজারে আসে ২০০০টাকার নোট।