মাধব শেঠ বলেছেন, লকডাউন আরও ২ সপ্তাহ বেড়ে গিয়েছে, অথচ তাঁরা কোনও নির্দেশিকা পাননি, মোবাইল তৈরি ফের শুরু করা যাবে কিনা। কারখানা খোলার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে, এখন তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। জনস্বাস্থ্য এই সময় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সুতরাং সরকারের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।
ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন বা আইসিউএ বলেছে, মোবাইল ফোন সহ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলিকে কারখানা চালু করার সরকারি অনুমতি স্বাগত জানাচ্ছে তারা। লকডাউনের যাবতীয় মোবাইল কারখানা বন্ধ থাকায় কোনও স্মার্টফোন সংস্থা একটি সিপমেন্টও গত মাসে পাঠাতে পারেনি। মাধব শেঠ বলেছেন, যদি এখনই সরকার কারখানাগুলি ফের চালু করার অনুমতি দেয়, তা হলেও স্বাভাবিক হারে উৎপাদন করতে গেলে আরও ২ সপ্তাহ লেগে যাবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারখানা খোলার ব্যাপারে তাঁরা তাড়াহুড়ো করবেন না, কারণ কর্মীদের নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাঁরা সরকারি নির্দেশের অপেক্ষা করবেন যে ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে কারখানা চালু করা সম্ভব, তারপর নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে মোবাইল বিক্রি এখন কার্যত বন্ধ কারণ বেশিরভাগ ব্র্যান্ডই কারখানা, দোকানপাট বন্ধ রেখেছে। লকডাউন কেটে গেলে মোবাইলের চাহিদা এক লাফে বাড়তে পারে, তার প্রভাব পড়তে পারে ফোনের দামে। এছাড়া জিএসটি ও টাকার দামের বাড়াকমা তো রয়েইছে।
এছাড়া লকডাউনের জেরে কর্মীর সংখ্যা কমে যাওয়াতেও সমস্যায় পড়েছে স্মার্টফোন সংস্থাগুলি। পরিযায়ী কর্মী, ট্রাক চালক, খালাসি সবাই দেশে ফিরে গিয়েছেন। ফলে পরিস্থিতি আগের মত হতে অনেক সময় লেগে যাবে বলে মাধব আশঙ্কা করছেন। তবে তার থেকেও বড় আশঙ্কা চাহিদা সত্যিই বাড়বে কিনা তা নিয়ে। যদি অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে, মানুষের আয় কমে যায়, তবে স্মার্টফোনের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই কমবে। তাই বাজার খুললে অর্থনীতির কী অবস্থা দাঁড়ায় সে বুঝে নিতে হবে ব্যবস্থা। বলেছেন তিনি।
এই মুহূর্তে ব্যবসা স্বাভাবিক করার একটাই উপায় তাঁর মতে, আর তা হল কারখানা খুলে দেওয়া। লকডাউনেও তাঁরা কর্মীদের আগের বেতনই দিচ্ছেন। তবে রোজের টাকা রোজ দেওয়ার বদলে এখন দেওয়া হচ্ছে প্রতি মাসে। কর্মী সুরক্ষার জন্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁরা অপারেশন চালু করতে চান বলে মাধব জানিয়েছেন।