বৃহস্পতিবার সকালে কৃষ্ণেন্দুবাবু কান্নায় ভেঙে পড়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, দল আমাকে সম্মান দেয় না, সেকারণে আমি তৃণমূল ছাড়ছি। আমি দলকে ভালবাসতাম, এমন মন্তব্যও করেন তিনি। তখন তৃণমূল ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন ডানকুনি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর। সেইমতো প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন। বিকেলে জনা পঞ্চাশেক অনুগামীকে নিয়ে বিজেপির যোগদান মেলাতেও হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। মঞ্চেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু, মাঝপথেই ছন্দপতন! বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আসার আগেই সভাস্থল ছাড়লেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। পিছু নিলেন তাঁর অনুগামীরাও।
কিন্তু, হঠাৎ কেন মত বদল? তিনি বলেন, আমার দাবি ছিল, কেন আমি বিজেপিতে আসছি, তা বলতে দিতে হবে, কিন্তু জানলাম, আমাকে বলতে দেওয়া হবে না। এখানেও আমার সম্মান নেই, এভাবে বিজেপিতে যেতে চাই না, আজ থেকে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিচ্ছি।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি, ব্যক্তিগত কারণে চলে যেতে পারেন। তবে ভবিষ্যতে উনি বিজেপিতেই আসবেন। বিজেপির চাঁপদানির আহ্বায়ক পরাগ মিত্র বলেন, ব্যক্তিগত কারণে চলে যেতে পারেন। বিজেপি বড় দল, এখানে একজন এসে যদি চলেও যায়,তাতে দলের ক্ষতি হবে না। পরে আবার বিজেপিতে আসবে।
ভুল বুঝতে পেরে মত বদল, পাল্টা দাবি করে হুগলি তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপির সংস্কৃতি মেলে না। অনেকেই হয়তো ভুল বুঝতে পেরে চলে যাচ্ছে, বেশিরভাগই তৃণমূলে ফিরে আসবে।
সূত্রের খবর, মান ভাঙাতে বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।