নয়াদিল্লি : ১০ নভেম্বর, সোমবার নয়। ৬ ডিসেম্বর জোরাল বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল চিকিৎসক উমর নবির। লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরকবাহী গাড়ি নিয়ে এই উমরই ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। কিন্তু, ওইদিন নয়, ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন বড়সড় বিস্ফোরণের পরিকল্পনার ছক ছিল এই উমরের। এমনই জানিয়েছেন আধিকারিকরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফরিদাবাদে অবস্থিত আন্তঃরাজ্য ‘হোয়াইট কলার’ জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথোপকথনের পরে পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য একত্রিত করা হয়েছে।

Continues below advertisement

দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ২৮ বছর বয়সী চিকিৎসক উমর। ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে সে নিহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নিহত ১২ জনের মধ্যে সে-ও রয়েছে। কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বিস্তৃত জঙ্গি নেটওয়ার্কের মূল হিসেবে তার নাম উঠে আসছে। ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা এবং যার ঘর থেকে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট পাওয়া গেছে, সেই চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ গণাই ওরফে মুসাইবকে পুলিশের গ্রেফতারির তার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে উমর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল এবং বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনাজনিত কারণে ঘটেছে। আধিকারিকরা বলছেন, উমর একাকী ছিল এবং তার শিক্ষাগত রেকর্ডও ছিল চমৎকার। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হওয়া আটজনের মধ্যে প্রথমজন গণাইয়ের সঙ্গে ২০২১ সালে তুরস্ক ভ্রমণ নাটকীয় রূপান্তর এবং মৌলবাদের দিকে তাকে (উমরকে) পরিচালিত করে বলে দাবি করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, ভ্রমণের সময় নিষিদ্ধ জইশ-ই-মহম্মদের আন্ডার-গ্রাউন্ড কর্মীদের সঙ্গে তাদের দু'জনের দেখা হয়েছিল। সেই ভ্রমণের পর পাল্টে যায় উমর। পরবর্তীকালে উমর গণাইয়ের সঙ্গে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং সালফার সহ বিস্ফোরক জমা করতে শুরু করে। আল ফালাহ ক্যাম্পাস এবং তার আশেপাশে সেগুলি সংরক্ষণ করতে শুরু করে যেখানে সে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছিল।

এই চিকিৎসক উমর নবি সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমাড়ু জানার পর অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার কয়াল গ্রামে। এখানেই বাড়ি তার। দিল্লি বিস্ফোরণের পর সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। কয়াল গ্রামে উমরের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তার মা ও দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আত্মঘাতী বোমাডুর নমুনা খতিয়ে দেখতে তার মায়ের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। তারা বাবাকেও আটক করে পুলিশ।

Continues below advertisement