নয়াদিল্লি : দ্রুত গতিতে চলছে দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত-প্রক্রিয়া। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, প্রথাগত আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ছিল না এটা। আতঙ্কের জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বিস্ফোরণের পর জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা এজেন্সি। ফরিদাবাদ, সাহারানপুর, পুলওয়ামা এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ক্রমাগত চাপের মুখে এই কাজ করে থাকতে পারে সন্দেহভাজন। এমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের এমনই খবর।
ANI-কে সূত্র বলেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি আত্মঘাতী গাড়ি-বোমা হামলার স্বাভাবিক ধরন অনুসরণ করেনি -- সে গাড়ি নিয়ে কোনও টার্গেটে ধাক্কাও দেয়নি বা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষও করেনি। লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের সাধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করে হয়নি, যারা সর্বাধিক ক্ষতি করার লক্ষ্য রাখে। এজেন্সি সূত্র এটাও বলছে, বোমাটি প্রি-ম্যাচিওর ছিল এবং সম্পূর্ণরূপে তৈরি করা হয়নি। বিস্ফোরণে কোনও গর্ত তৈরি হয়নি, কোনও শার্পনেল বা প্রোজেক্টাইল পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের সময়ও গাড়িটি চলমান ছিল এবং IED-টি অনেক হতাহতের জন্য সজ্জিতও ছিল না।
গতকাল বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয় রাজধানী। দিল্লি বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২। আহত ২৬। বেশিরভাগ মৃতদেহই ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। ঘটনার নেপথ্যে থাকা সব জঙ্গিকে খুঁজে বের করতে হবে বলে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। বিস্ফোরণে যোগ থাকতে পারে এই সন্দেহে একাধিক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। এমনই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।
ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে হস্তান্তর করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিড ডোভাল এব্যাপারে গাইড করবেন। ঘটনার পিছনে বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আন্তঃরাজ্য জঙ্গি নেটওয়ার্কের হদিশ পাওয়ার প্রচেষ্টায় এমনিতেই বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি।
খবর অনুযায়ী, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যে উঠে আসছে, ভারতজুড়ে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। এই আবহে নিরাপত্তা বাড়ছে বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে ফরিদাবাদে ফের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ৫০ থেকে ৬০ কেজি বিস্ফোরক পাওয়া গেছে বলে খবর। ফরিদাবাদের সেক্টর ৫৬ থেকে উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক। যা করল হরিয়ানা ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে।