সাঁকরাইল: ঘরেই পড়ে ছিলেন অসুস্থ বৃদ্ধা। রেড ভলান্টিয়ারদের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত ভর্তি করা হল হাসপাতালে। সাঁকরাইলের রামচন্দ্রপুরের ঘটনা। কোভিড আক্রান্ত সন্দেহে গতকাল সকাল থেকে ঘরে একা পড়েছিলেন এক বৃদ্ধা। তাঁর মেয়ে সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূল সদস্য হলেও কারও থেকেই কোন সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ। শেষে রেড ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁদের উদ্যোগেই আজ ওই বৃদ্ধাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


সাঁকরাইলের রামচন্দ্রপুর ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা সন্ধ্যারানী ঘোষ (৬৫)। মঙ্গলবার সকাল থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সন্ধ্যারানী ঘোষের বড় ছেলে এবং তাঁর স্ত্রী কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। 


কাজেই কোভিড সন্দেহ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি প্রতিবেশীরাও। অভিযোগ, বৃদ্ধার মেয়ে শতাব্দি ঘোষ বারবার প্রতিবেশী এবং স্বাস্থ্য দফতরে জানালেও কোনও সাহায্য পাননি।  এরপর বুধবারে শতাব্দি ঘোষ নিজে রেড ভলান্টিয়ারদের দক্ষিণ হাওড়া এরিয়া কমিটিতে ফোন করেন। ওই সদস্যরা পিপিই পরে চলে আসে বাড়িতে। ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলেন। তারপর তাঁকে ভর্তি করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।


উল্লেখ্য, রেড ভলেন্টিয়ারদের এই পরিষেবা পেয়ে খুশি আক্রান্তের পরিবার। ভলেন্টিয়াররা জানাচ্ছেন, তাঁরাও বৃদ্ধার উপকারে আসতে পেরে খুশি। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে সাহায্য চেয়ে একাধিক ফোন আসছে তাঁদের কাছে। এই ফোনটিও পাওয়া মাত্রই চলে এসেছেন তাঁরা।


করোনা আক্রান্ত ও তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সব রকমের সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করেছে সিপিএম। সাহায্যের হাত বাড়াতেই তৈরি হয়েছে রেড ভলান্টিয়ার নামের বাহিনী। করোনা আক্রান্তরা একাধিক সমস্যায় পড়ছেন। কখনও ওষুধ, পানীয়জল, খাদ্যসামগ্রী পেতে সমস্যা হচ্ছে। কখনও আবার প্রতিবেশীদের রোশের মুখে পড়তে হচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্তদের হাসপাতালে যেতে গিয়েও দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে পরিবারকে।


আর এই সমস্ত মুশকিল আসান করতেই তৈরি হয়েছে এই তরুণ-তুর্কিদের দল। কখনও অক্সিজেন নিয়ে, কখনও খাবার নিয়ে, করোনা আক্রান্তদের সাহায্য করতে ছুটে চলেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সে খবর জেনেছেন সকলেই। এই দুঃসময়েও উঠে এসেছে একাধিক ইতিবাচক গল্প। এবার ফের একবার সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল রেড ভলান্টিয়ার্স।