নয়াদিল্লি :  কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়না তদন্তের প্রয়োজন হলে সেখানে কতগুলি অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি দরকার। যেমন  মৃত্যুর শংসাপত্র, মেডিক্যাল রিপোর্টের ও বডি চালান। কিন্তু আর জি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা তরুণীর মৃত্যুর পর দেহ যখন ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়, সেই সময় কোনও বডি চালানই ছিল না। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল লালবাজারকে। চিকিুৎসকের ময়না তদন্ত করা হলেও তার কোনও ‘বডি চালান’ মেলেনি বলে আদালতে জানায় সিবিআই। এই নিয়ে বিস্ময়প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে  আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণ কাণ্ডে কোনও বডি চালান ছাড়াই দেহ পোস্ট মর্টেমে চলে গেল ! 


গত ৯ সেপ্টেম্বর  রাজ্যকে একাধিক প্রশ্ন করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ময়নাতদন্তের সময়, এফাআইআরের-এ দেরি ইত্যাদি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানতে চান দেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় সেই চালান কোথায়? চালান এই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাতে বোঝা যায় যে দেহের সঙ্গে কী কী পাঠানো হয়েছিল। 


শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, যখন ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় তাঁর আগে ডাক্তাররা একটি চালান পূরণ করে তা মৃতদেহের সঙ্গে পাঠাতে হয় ।  সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, তারা কোনও চালান পায়নি। এমনকী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়ে দেন, এমন কোনও চালানের নথি পাননি। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এই চালান ছাড়া দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গ্রহণ করা হয় না, তাহলে? রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট লিখিতভাবে যা দিয়েছেন তা ছাড়া কোনও চালান তাঁর কাছে নেই।


মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে সিব্বল স্পষ্ট করে দেন, এরকম কোনও বডি চালান নেই। আর চালান হাইকোর্টে দেখানো হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে যে দাবি করা হয়েছে, তা সত্য নয়। কারণ তাঁর কাছে থাকা তথ্য অনুসারে,ফর্ম ৫৩৭১ ,বহুদিনই আর ব্যবহার করা হয় না। ১৯৯৭ সাল থেকে এই বডি চালান ব্যবহার করা হয়নি। আর এক্ষেত্রেও তেমন কিছু নেই। এমন কিছু হাইকোর্টে দেখানো হয়নি, এটি একটি ভুল বিবৃতি ।   


আরও পড়ুন:  'স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত', জানালেন মমতা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে