নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধীদের মোকাবিলা করতে গিয়ে পুলিশ আগ্রাসী হয়ে উঠেছে, দমনপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠায় প্রবল সমালোচনা, নিন্দার মুখে যোগী আদিত্যনাথ দাবি করলেন, তাঁর প্রশাসন যা ব্যবস্থা নিয়েছে, তা দাঙ্গাবাজদের চমকে দিয়েছে, তারা স্তম্ভিত। সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে ব্যাপক অশান্তি, হিংসা ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশের পাল্টা অভিযানে অন্তত ২১ জন নিহত হয়, হাজারের বেশি লোক অশান্তি করার অভিযোগে ধরা পড়েছে। সংঘর্ষে কয়েকশ পুলিশকর্মী, বিক্ষোভকারীও জখম হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী কঠোর অবস্থান নেন, জানিয়ে দেন, যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে নষ্ট করেছে, তাদের থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বেচে টাকা তোলা হবে। একাধিক লোককে প্রশাসন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে দোষী সাব্যস্ত করে চিহ্নিত করে নোটিস পাঠিয়ে বলেছে, তাদেরই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।




যদিও সরকারি ঘোষণায় নানা মহল নিন্দা, সমালোচনায় সরব। বিতর্কের মুখে আদিত্যনাথের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক দাঙ্গাকারী বিপদে পড়েছে। প্রতিটি বিক্ষোভকারী ভয় পেয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কঠোর চেহারা দেখে সবাই স্তব্ধ। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, যে-ই সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে, তাকে মূল্য দিতে হবে। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার ক্ষমতায় থাকায় প্রতিটি হিংসাশ্রয়ী বিক্ষোভকারীকে এবার কাঁদতে হবে।
আরেকটি ট্যুইটে যোগী প্রশাসন বলেছে, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের শক্তিশালী চেহারা দেখে সব দাঙ্গাবাজ অবশ্যই ভাববে, তাঁর কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জ করে কী ভুল করেছে।
সমালোচনা সত্ত্বেও যোগী প্রশাসন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করায় জড়িতদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে, এপর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৩৭২ জনকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে।