তবে বিতর্কের মধ্যেই প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেট অধিনায়ক ইনজামাম জানিয়েছেন, কানেরিয়া যখন তাঁর নেতৃত্বে খেলতেন, তখন তাঁর এমনটা মনে হয়নি কখনও। ইনজামামের মন্তব্য সোস্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করেছেন এক পাকিস্তানি সাংবাদিক। ইনজামাম বলেছেন, দানিশ কানেরিয়া যে ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে সবচেয়ে বেশি খেলেছে, সে আমি। আমার কখনও কিন্তু আমাদের দলে এমন কিছু হয়, অ-মুসলিম বলে কোনও ক্রিকেটার আরেক সতীর্থের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে মনে হয়নি। আমাদের দলে কখনও এরকম একটি নমুনাও নজরে আসেনি আমার।
ইনজামামকে উদ্ধৃত করে পাক সাংবাদিকটি আরও বলেছেন, দানিশ কানেরিয়ার এই দাবি মানতে প্রস্তুত নই যে, আমাদের মন এতটাই ছোট যে এমন আচরণ করব, কাউকে আমরা গ্রহণ করতে পারি না। পাকিস্তানিদের হৃদয় বড়, আমরা প্রত্যেককে বুকে টেনে নিতে পারি বলে মনে করি।
ধর্মীয় কারণে বিভেদ, বৈষম্যের অভিযোগ নাকচ করে ইনজামাম বলেছেন, শারজার মতো সফরে যখন যেতাম, দেখতাম, ভারতীয় আর পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা একই হোটেলে এর ওর ঘরে গল্পগুজব করছে, আড্ডা মারছে, খাওয়া-দাওয়া করছে একসঙ্গে। দুতরফেই কখনও এমন কিছু দেখিনি যে, একসঙ্গে বসে খাওয়া যায় না।
এদিকে শনিবার ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে আজীবন নিষেধাজ্ঞার সাজা পাওয়া দানিশ নতুন অভিযোগ তুলেছেন যে, খেলার মাঠ থেকে নির্বাসনের পর না পাক সরকার না পাক ক্রিকেট বোর্ড, কারও কোনও সাহায্য পাননি তিনি। ট্যুইট করেছেন যে, এটা ঘটনা যে, পাক সরকার বা বোর্ডের কোনও সাহায্য পাইনি নিষেধাজ্ঞা জারির পর। অথচ একই পরিস্থিতিতে পড়েও অন্য ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের হয়ে খেলেছে পাকিস্তান বোর্ডের সাহায্যে, সম্মানও পেয়েছে। এ থেকে কোনও উপসংহার টানলে শোয়েইব আখতারের দাবিই সত্যি প্রমাণিত হবে।
যে গুটিকয়েক প্লেয়ার তাঁর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন বলে তাঁর দাবি, তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দানিশ জানান, তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তাঁদের নাম প্রকাশ করবেন।