পটনা: নির্বাচনমুখী বিহারে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। সব রাজনৈতিক দলের অন্দরেই তৎপরতা তুঙ্গে। সেই আবহেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো, লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়ির সামনে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হল। টিকিট না পেয়ে সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়লেন এক RJD নেতা। কাঁদতে কাঁদতে রাস্তায় শুয়ে পড়লেন তিনি। ছিঁড়ে ফেললেন নিজের পরনের কুর্তাও। (Bihar Elections 2025)

Continues below advertisement

RJD নেতা মদন শাহ এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। মধুবন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট পাবেন বলে প্রত্যাশা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ভেঙে পড়েন তিনি। সটান লালুপ্রসাদের বাড়ির সামনে উপস্থিত হন। সেখানে কার্যতই গলা ছেড়ে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। বুক চাপড়াতে চাপড়াতে শুয়ে পড়েন রাস্তায়। রাগে, দুঃখে ছিঁড়ে ফেলেন নিজের কুর্তা। (RJD Leader Madan Shah)

শুধু তাই নয়, পটনার বাড়িতে লালুপ্রসাদের গাড়ি ঢুকতে দেখে পিছু পিছু ছুটে যান তিনি। এমন পরিস্থিতিতে ভিড় জমে যায় লালুপ্রসাদের বাড়ির সামনে। দলের নেতা থেকে সাধারণ মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েন মদনের কাণ্ড দেখে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও গলা ছেড়ে কাঁদতে থাকেন মদন। তাঁর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে বলে দাবি করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান।

Continues below advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ওই ভিডিও। টিকিট না পেয়ে সংবাদমাধ্যমেও ক্ষোভ উগরে দেন মদন। তাঁর বক্তব্য, তাঁর দাবি টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে দলে। তিনি টাকা দিতে পারেননি বলেই টিকিট পাননি। RJD সাংসদ সঞ্জয় যাদবের দিকে সরাসরি আঙুল তোলেন মদন। জানান, সঞ্জয় টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি করছেন। তাই মধুবনে তাঁর পরিবর্তে সন্তোষ কুশওয়াহাকে প্রার্থী করা হয়েছে।

লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন মদন। বলেন, “ওরা সরকার গঠন করতে পারবে না। তেজস্বী যাদব বড্ড অহঙ্কারী। কারও সঙ্গে দেখাও করেন না। আমি এখানে মরতে এসেছি। লালুপ্রসাদ যাদব আমার গুরু। উনি টিকিট দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু সন্তোষ কুশওয়াহাকে টিকিট দিয়েছেন, যিনি বিজেপি-র এজেন্ট।”

মদন জানিয়েছেন, নয়ের দশক থেকে RJD করছেন তিনি। ২০২০ সালে লালুপ্রসাদের কথাতে তেলি সম্প্রদায়কে নিয়ে জনগণনাও করেন। তিনি দরিদ্র পরিবারের সদস্য। জমি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁকে টিকিট না দিয়ে অন্যায় করেছে দল। মদনের এমন প্রতিক্রিয়া নিয়ে দলের কেউ কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি এখনও পর্যন্ত। তবে নির্বাচনের টিকিট বিলি নিয়ে এমন ঘটনা এই প্রথম নয় বিহারে। প্রার্থী হতে না পেরে আগেও বার বার জনসমক্ষে ভেঙে পড়েছেন অনেকে। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন। তেমনই টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে আগেও।