পটনা : একসময় প্রায় ১৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর হারের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নিলেন RJD সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব। দল শোচনীয় ফল করলেও, শেষ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হলেন মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী থাকা তেজস্বী। পারিবারিক শক্তঘাঁটি রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি।
তেজস্বীর বাবা তথা আরজেডি-র প্রতিষ্ঠাতা লালু প্রসাদ যাদব এবং মা রাবড়ি দেবীর বারবার জয়লাভের জেরে এই আসনটি শক্তঘাঁটি হয়ে উঠেছে তাঁদের। ২০১৫ সাল থেকে এই আসনে প্রতিনিধিত্ব করছেন তেজস্বী। ২০২০ সালের ভোটে ৩৮ হাজারের বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এবার লালু-পুত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে সতীশ কুমার যাদবকে বেছে নেয় বিজেপি। এই সতীশ কুমারই ২০১০ সালে জেডিইউ প্রার্থী হিসাবে রাবড়ি দেবীকে এই কেন্দ্র থেকে হারিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোরের জন সূরয পার্টিও রাঘোপুর কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তেজস্বীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এই কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন তাঁর ভাই তেজ প্রতাপ যাদবও। প্রেম কুমার নামে জনৈক-কে টিকিট দেয় জনশক্তি জনতা দল। একাধিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তেজস্বী।
RJD থেকেই নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সতীশ কুমার। যাদব সম্প্রদায়ের কাছে একজন প্রভাবশালী নেতা তিনি। রাজ্যে ভোটের প্রায় ১৫ শতাংশ ভোট এই সম্প্রদায়ের। ২০০৫ সালে জনতা দল ইউনাইটেডে নাম লেখান সতীশ কুমার। রাঘোপুর কেন্দ্রে দাঁড়ান। প্রথম দফায় যদিও বাজিমাত করেছিলেন রাবড়ি দেবী। সেই ভোট ২৫ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন লালু-পত্নী। ২০১০ সাল ছিল 'বদলার-বছর।' ১৩ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে শেষ করেন সতীশ কুমার। ২০১৫ সালে নিজের আসন অক্ষত রাখার চেষ্টা করেন। তবে, সেবার বিজেপির জার্সিতে। যদিও শিবির বদলে লাভ হয়নি তাঁর। ২০১৫ ও ২০২০-র নির্বাচন তিনি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিলেন। দু'বার হেরেছিলেন তেজস্বীর কাছে।
এবার কার্যত এনডিএ ঝড়ে মহা ধাক্কা খেল মহাজোট। ধরাশায়ী হল কংগ্রেস। মহিলা ভোট, এসআইআর, সুশাসন, কোন ফ্যাক্টর কাজ করল বিহারের এই ফলে ? এই নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৯৯টি আসনে ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৮৫টিতে। মহাজোটের ঝুলিতে ১০টি।