নয়াদিল্লি: এই অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে যাত্রীভাড়া থেকে ভারতীয় রেলওয়ের উপার্জন ৪০০ কোটি টাকার মত কমেছে গত ত্রৈমাসিকের তুলনায়। তথ্যের অধিকার আইনে জানা গিয়েছে এ কথা।


তবে মালগাড়ি থেকে উপার্জন বেড়েছে ২৮০০ কোটি টাকার মত। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৩,৯০১ কোটি টাকার ঘাটতি ছিল কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে উপার্জন লক্ষ্যণীয়ভাবে বেড়েছে।

যদিও প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় দ্বিতীয়টিতে যাত্রীভাড়া থেকে রেলের উপার্জন কমে ১৫৫ কোটি টাকা। আর তৃতীয়তে কমেছে ৪০০ কোটি টাকার মত। এ ব্যাপারে জানতে তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন করেন মধ্য প্রদেশের সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর গৌড়। তাতে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে যাত্রীভাড়া থেকে রেল রোজগার করে ১৩,৩৯৮.৯২ কোটি টাকা। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে তা কমে দাঁড়ায় ১৩,২৪৩.৮১ কোটি টাকা ও অক্টোবর-ডিসেম্বরের শেষ ত্রৈমাসিকে তা আরও কমে হয়েছে ১২৮৪৪.৩৭ কোটি টাকা।

উল্টোদিকে মাল বহনের ক্ষেত্রে বিষয়টা হয়েছে অনেকটা উল্টো। প্রথম ত্রৈমাসিকে রেল রোজগার করে ২৯,০৬৬.৯২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তা কমে হয় ২৫.১৬৩.১৩ কোটি। কিন্তু তৃতীয় ত্রৈমাসিকে উপার্জন অনেকটাই বেড়েছে, হয়েছে ২৮,০৩২.৮০ কোটি টাকা। মাল পরিবহণে আর্থিক ঘাটতি কমাতে কয়েকটি পদক্ষেপ করে রেল। বিজি সেশন সারচার্জ তুলে দিয়েছে তারা, এসি চেয়ার কার ও এক্সিকিউটিভ ক্লাস থাকা ট্রেনে এসেছে ২৫ শতাংশ ছাড়ের একটি প্রকল্প। ৩০ বছরের পুরনো ডিজেল ইঞ্জিনগুলো আস্তে আস্তে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে, কমানো হচ্ছে জ্বালানির খরচ। রেলের হাতে থাকা ভূসম্পত্তির আর্থিক কাজে ব্যবহার করাও শুরু হয়েছে।