নয়াদিল্লি: চারিদিকের হতাশা, অন্ধকারের মধ্যে আলো ছড়ালেন ওঁরা। রোহতকের সূর্য কলোনির বাসিন্দা নিরঞ্জন কাশ্যপ ও তাঁর মেক্সিকান জীবনসঙ্গী ডানা জোহেরি ওলিভারোস ক্রুসে। ২০১৭ সালে একটি ভাষা শিক্ষার অ্যাপের মাধ্যমে দুজনের পরিচয়, পরের বছর এনগেজমেন্ট হয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন বহাল থাকায় বিয়ে করতে পারেননি দুজনে। তাই স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে ওঁদের বিয়েকে আইনি সিলমোহর দিতে গত ১৩ এপ্রিল রাতে বসল রোহতকের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত।
২০১৭ সালে একটি ভাষা শিক্ষার অ্যাপের মাধ্যমে দুজনের পরিচয়, পরের বছর এনগেজমেন্ট হয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন বহাল থাকায় বিয়ে করতে পারেননি দুজনে।

নিরঞ্জন বলেছেন, একটি ল্য়াঙ্গুয়েজ অ্য়াপে প্রথম দেখা আমাদের। আমার জন্মদিনে ও ভারতে এসেছিল। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডানা, তার মা বিয়ের জন্য ভারতে আসে। ১৭ ফেব্রুয়ারি স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করতে চেয়ে আবেদন করি আমরা। ৩০ দিনের নোটিস দেওয়া হয়। ১৮ মার্চ নোটিসের মেয়াদ ফুরোনার কথা ছিল। কিন্তু ততদিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘিরে দেশে অস্থিরতা শুরু হতে থাকে। এরপর চালু হয় লকডাউন। বিয়েটা হয়নি। আমরা জেলা কালেক্টরকে আবেদন করার পর বিয়ে হয়।
ডানার ২৪ মার্চের মেক্সিকো ফেরার ফ্লাইট বুক করা ছিল, কিন্তু লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত বেড়়ে যাওয়ায় দেশে ফেরা হচ্ছে না, সেই ফ্লাইটের দিন পিছিয়ে ৫ মে হয়েছে।
ওদের বিয়েটা বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করা আইনজীবী বলেছেন, দুজনেই আমার কাছে এসেছিল। মেয়েটি মেক্সিকোর হওয়ার ফলে ওদের বিয়ে হওয়া সম্ভব স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে। পরে আমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারস্থ হই। তিনি মেক্সিকো দূতাবাস ও অন্য সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়ে আবেদন পাঠান। এনওসি আসার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খুলিয়ে ১৩ এপ্রিল রাত আটটায় ওদের বিয়ে দেন।