মস্কো: এবার নোভেল করোনাভাইরাসের ‘নিরাপদ’ ভ্যাকসিন তৈরির দাবি রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। এই ভাইরাসের গবেষণায় ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবক সামিল হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে, ভাইরাসের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় তাঁদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, তাই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রায়ালের ফল দেখে জোর দিয়ে আমরা বলতে পারছি, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ, ভাল, সহনশীল। তবে ভ্যাকসিনটি কার্যকর কিনা, সে ব্যাপারে রুশ মন্ত্রক কিছু বলেনি। যদিও ট্রায়ালের সঙ্গে জড়িত এক ডাক্তার বলেছেন, ওই স্বেচ্ছাসেবকরা এখন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত। প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে ছাড়া ভিডিওতে শ্বেতলানা ভোলচিকিনা নামে এক গবেষক বলেছেন, ওঁদের রোগ প্রতিরোধী শক্তি অর্থাত্ ইমিউনিটি ভাল কাজ করছে, অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, ওঁরা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শেষদিকে রাশিয়ায় করোনাভাইরাস অতিমারী সংক্রমণ যখন তুঙ্গে, তখনই রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানিয়েছিলেন যে, সামরিক গবেষকরা মস্কোর গামেলিয়া ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একযোগে একটি ভ্যাকসিন বানাচ্ছেন।
মস্কোর বুরকেনডো সামরিক হাসপাতালে আলাদা করে রেখে ১৮ জুন স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। দৈনিক চেক আপ চলতে থাকে তাঁদের। প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের ২৮ দিন বাদে স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর তার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলি স্বাভাবিক সীমার মধ্যেই ছিল।
হাসপাতাল ছাড়ার সময় ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইউরি বলেছেন, এখন জানি, আমরা ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত।
দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয় গত ২৩ জুন। তাঁরা এখন ওই হাসপাতালে আইসোলেশনে ডাক্তার-গবেষকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
জুলাইয়ের শেষ নাগাদ পুরো ক্লিনিকাল পরীক্ষা পর্ব পুরোপুরি সারা হয়ে যাবে, এমনই আশা করছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের সংখ্যার বিচারে রাশিয়ার স্থান চারে। প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ সংক্রমণ হয়েছে, মৃতের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। জানিয়েছেন রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তারা।