কিভ: বৃহস্পতিবার অষ্টম দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। তিনদিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে লাগাতার আক্রমণ রাশিয়ার সেনার। পরপর চলছে গোলাবর্ষণ। ইউক্রেনের বেশ কিছু শহর রাশিয়ার দখলে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে ক্রেমলিনের তরফে। অষ্টম দিনে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর খেরসন রাশিয়ার দখলে গিয়েছে বলে জানান হয়েছে খোদ ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তরফে। ওই দেশের চারটি বড় শহর দখল করার দাবি করেছে রাশিয়া। দেশের অন্য শহরেও গোলাবর্ষণের পরিমাণ বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। 


যুদ্ধে ইউক্রেনের ২ হাজার ৮৭০ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। পাল্টা ইউক্রেনের দাবি তাঁদের পাল্টা আঘাতে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ৯ হাজার সেনার মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়ার একাধিক যুদ্ধবিমানও ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের ছশোরও বেশি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে একাধিক সাঁজোয়া গাড়িও। পাল্টা রাশিয়ার বাহিনীর এক হাজারের বেশি ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ির ধ্বংস করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।  একে অপরের একাধিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করার দাবি তুলেছে দুই দেশ। 


সেনা অভিযানে সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার হামলায় ২ হাজারেরও বেশি সাধারণ নাগরিক মারা গিয়েছেন বলে দাবি করলেও সেই দাবি নস্যাৎ করে মস্কোর দাবি, তাঁদের আক্রমণে ইউক্রেনের কোনও সাধারণ নাগরিক মারা যাননি। ইউক্রেনের উত্তরে চেরনিহিভ শহরে (chernihiv) রাশিয়ার হামলায় ২২ জন সাধারণ নাগরিক মারা গিয়েছেন বলে দাবি সেদেশের সরকারের। ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।


ইতিমধ্য়েই ইউনাইটেড নেশনের তরফে দাবি করা হয়েছে যুদ্ধের ফলে এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষেরও বেশি নাগরিক ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন। যদিও তার মধ্যে ইউক্রেনে থাকা বিদেশিরাও রয়েছেন। 


এদিন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের। যদিও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে নিজেদের সেনা না নামালেও প্রথম থেকেই ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ এবং আমেরিকা। এদিনও ইউক্রেনকে আরও কিছু ভারী সমরাস্ত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে জার্মানি।


আরও পড়ুন: ইউক্রেন পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ, দেশে ডাক্তারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ভাবনা আনন্দ মাহিন্দ্রার