ইউক্রেন যুদ্ধের ২৭তম দিনে আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে রাশিয়ার হামলা। কিভ, খারকিভ, মারিউপোল, ইউক্রেনের একের পর এক শহরে আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। 


সবথেকে খারাপ অবস্থা মারিউপোলে। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর ক্ষেপণাস্ত্র বা গোলা আছড়ে পড়ছে সেখানে।  বিদ্যুত্‍, জল, খাবার, ওষুধ, কিছুই নেই ওই শহরে। তা সত্ত্বেও রাশিয়ার আত্মসমর্পণের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দিয়েছেন মারিউপোলের বাসিন্দারা।  এখনও প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন ওই শহরে।  রাশিয়ার হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনও।  


তবে এই যুদ্ধে দিনদিন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।  রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের ৯২৫ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৭৫ শিশুও রয়েছে।  তবে রাষ্ট্রপুঞ্জই জানিয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, যুদ্ধের এই অবস্থায় প্রকৃত তথ্য জোগাড় করাও কঠিন। 


ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে ৯টি হাসপাতাল।  এছাড়াও হামলা হয়েছে ১৩৫টি হাসপাতাল ও ৪৩টি অ্যাম্বুল্যান্সের ওপর।   


এদিকে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির পুতিনের। এই অবস্থায় ইউক্রেনে জৈব বা রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এই দাবিই করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  


সেনা অভিযানের ২৭ দিন পরও ইউক্রেনের কোনও বড় শহর দখল করতে পারেনি রাশিয়া। উল্টে ইউক্রেনের মরিয়া প্রতিরোধে তাদের সামরিক ক্ষয়ক্ষতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি, ইউক্রেনের ওপর মিথ্যে দোষারোপ করে রাশিয়া জৈব বা রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাতে পারে। তাঁর আশঙ্কা, আমেরিকাতেও বড় ধরনের সাইবার আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।  
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্যুইট করে এ বিষয়ে আমেরিকার বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছেন।  এরইমধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেনের সঙ্গে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।