নয়া দিল্লি : ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চলছেই। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন উভয়ে। এর পাশাপাশি ভারতীয়দের নিরাপদে উদ্ধার নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হয়। 


পরে পিএমও-র তরফে জানানো হয়েছে, উভয়ে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। মূলত খারকিভ শহর নিয়ে কথা হয়। কারণ, সেখানে এখনও আটকে আছে বহু ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁদের কীভাবে নিরাপদে বের করে আনা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে।


বুধবারই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, কিভে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে প্রথম নির্দেশিকা জারির পর ইউক্রেনের সীমানা ছেড়েছে প্রায় ১৭ হাজার ভারতীয়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫টি বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী এবং ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন তিনি। 


এদিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধলে, তা পরিণত হতে পারে পারমাণবিক যুদ্ধে। যা আরও ধ্বংসাত্মক হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ । এদিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ১৪১টি ভোট পড়েছে । বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৫টি। ভোটদান থেকে বিরত থাকে ভারত।


রাশিয়ার আগ্রাসনে কার্যত বিধ্বস্ত ইউক্রেন। ক্রমশ বাড়ছে প্রাণহানি ! মহা বিপদের মুখে ভারতীয় পড়ুয়ারাও ! এই যুদ্ধ কবে থামবে কেউ জানে না।


আতঙ্ক। উৎকণ্ঠা। বিভীষিকা। প্রাণের ভয়। যে কোনও ভাবেই হোক ইউক্রেন ছেড়ে বেরোতে চান হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়া । সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন থেকে যাতে ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপদে বের করে আনা যায়, সে ব্যাপারে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফের কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।


রণকৌশল ঠিক করতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়ার ক্রমাগত হামলার জেরে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর! বিশেষ করে খারকিভে । দু’দিন আগেই খারকিভে রুশ শেলিংয়ে শিকার হন ভারতীয় পড়ুয়া নবীন। এই পরিস্থিতিতে খারকিভে থাকা ভারতীয় নাগরিক ও পড়ুয়াদের জন্য ফের একটি অ্যাডভাইজরি জারি করেছে বিদেশমন্ত্রক। এখন নিরাপদে পড়ুয়া-সব ভারতীয়দের বের করে আনাটাই চ্যালেঞ্জের। তারই পথ প্রশস্থ করতে মোদি-পুতিনের কথোপকথন কাজে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবাহল মহল।