কলকাতা: বয়স হলে দাঁতের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। দাঁত পড়ে যায় অনেকের। দাঁতের আরও নানা সমস্যায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধার। দাঁতের সমস্যায় বড়সড় প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনেও। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় খাবার খেতে। কিন্তু বয়স্কদের পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। খাবার খাওয়ার অসুবিধে থাকলেও তাঁদের যাতে পুষ্টির ঘাটতি না হয় সেদিকেও রাখতে হবে কড়া নজর।


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিবোনোর অসুবিধের জন্য অনেকেক্ষেত্রেই দেখা যায় ঠিকমতো খাবার খেতে পারেন না বয়স্করা। তার ফলে অনেকেই অপুষ্টিতে ভোগেন।  তাঁদের পুষ্টির জন্য নির্ভর করতে হবে নরম খাবারে। সেগুলো কী?


দুগ্ধজাত খাবার
সাধারণত দুগ্ধজাত খাবার নরম খাবারের মধ্যে পড়ে এবং সহজে হজমও হয়। দুধ প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের বড় উৎস। দুধ থেকে তৈরি পনির বয়স্কদের প্রোটিনের বড়সড় উৎস হতে পারে। এছাড়া চিজ, ক্রিম, গুঁড়ো দুধের উপরেও ভরসা করা যায়। এগুলো চিবনোর খুব একটা দরকার হয় না। ফলে দাঁত না থাকলেও পুষ্টি যায় শরীরে।


প্রাণীজ খাবার
সেদ্ধ ডিম চিবিয়ে খেতে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ডিম দিয়ে পোচ তৈরি করে দেওয়া যায়। অথবা ডিমের ভুজিয়া বা স্ক্র্যাম্বেলড এগ বয়স্কদের জন্য অত্যন্ত ভাল। বিভিন্ন মাছের ফিলে তৈরি করেও দেওয়া যাবে। এগুলি নরম হওয়ায় চিবোনর সমস্যা হবে না।


সেদ্ধ ডাল বা খিচুড়ি
ডাল বা শস্যদানা চিবিয়ে খেতে সমস্যা হয়। কিন্তু সেদ্ধ করে দিলে দাঁত না থাকলেও খুব একটা অসুবিধে হয়। দাঁত নেই এমন কারও ডায়েটে ডাল সেদ্ধ রাখা যায়। বা খিচুড়িও তৈরি করা যায়। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে সাহায্য করে খিচুড়ি।     


নানাধরনের সুপ
টম্যাটো, আলু বা পুরোপুরি সেদ্ধ সব্জি দিয়ে সুপ তৈরি করা যায়। খেতেও অসুবিধে হবে না।


ওটস জাতীয় খাদ্য
ওটসে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। ওটস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পদও তৈরি করা যায়। যার কোনওটাই বিশেষ শক্ত নয়। দঁত না থাকলেও ওটস শেক, ওটসের তৈরি খিচুড়ি খেতে সমস্যা হবে না বয়স্কদের। ওটসের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফল পিষে মিশিয়ে দেওয়া যায়। খেতেও সুস্বাদু হবে, মিলবে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও।



ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: জোরে গান শোনার অভ্যাস? বিপদের কথা শোনাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা