কিভ: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে অশান্ত ইউরোপ। শনিবার দশদিনে পড়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের একাধিক শহর কব্জায় এসেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। তারই সঙ্গে রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছিল, রাশিয়ার (russia) হামলার মধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ইউক্রেনের (ukraine) প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার সেই দাবি খারিজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজে ভিডিও বার্তা পোস্ট করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি দাবি করেছেন, নিজের দেশের লোকজনকে ফেলে তিনি কোথাও যাননি। তিনি এখনও কিভেই রয়েছেন। শুক্রবার রাশিয়ার তরফে সরকারি ভাবে দাবি করা হয়েছিল, ইউক্রেন ছেড়েছেন জেলেনস্কি। এদিন তারই জবাব দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনবরত রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি। বারবার পুতিনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আন্তর্জাতিক স্তরেও বিভিন্ন দেশের সাহায্য চেয়েছেন। সম্প্রতি ন্যাটোর কাছে ইউক্রেনের আকাশসীমাকে নো ফ্লাই জোন (no fly zone) ঘোষণা করার দাবি করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সেই দাবি মানেনি ন্যাটো (nato)। সেই কারণে ন্যাটোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর দাবি, ন্য়াটোর এই সিদ্ধান্তে ইউক্রেনের শহর-গ্রামের উপর লাগামহীন বিমানহানার সুযোগ পেয়ে গেল রাশিয়া।
এর আগে যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও রাশিয়ার উপর একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা, কানাডা-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। রাশিয়ার (russia) বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। আর্থিকভাবে রাশিয়াকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য রাশিয়ার ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সুইফট ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও তারপরেও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই। সেনা না নামালেও ইউক্রেনকে (ukraine) অবশ্য বিভিন্ন অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করছে আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক দেশ।