নয়াদিল্লি: কেরলের শবরীমালা আয়াপ্পা মন্দিরে সব বয়সের মেয়েদের প্রবেশে অনুমতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮-র সেপ্টেম্বর ঘোষিত রায়ই শেষ কথা নয় কেননা একটি বৃহত্তর বেঞ্চে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ পিটিশনের শুনানি হবে। বৃহস্পতিবার বিন্দু আম্মিনি নামে কেরলের এক মহিলার মন্দিরে ঢোকার জন্য সুরক্ষা চেয়ে পেশ করা পিটিশনের শুনানিতে একথা বলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। বিন্দুর আবেদন, কেরল সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিক, শীর্ষ আদালতের ওই রায় যাতে কার্যকর করা হয়, মহিলারা নিরাপদে মন্দিরে পা রাখতে পারেন।
চলতি মরসুমে শবরীমালা মন্দির শীঘ্রই বন্ধ হতে চলেছে বলে বিন্দুর হয়ে প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ পিটিশনের দ্রুত শুনানি চেয়ে আজই নথিভুক্ত করার জন্য তার উল্লেখ করেন। বলেন, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে বিন্দুর ওপর রাসায়নিক বস্তু ছুঁড়ে হামলা চালানো হয়েছিল। শীর্ষ আদালতের ২০১৮-র সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বোবদে তখন বলেন, ২০১৮-র রায়ই চূড়ান্ত নয়। তবে তিনি বিন্দুর ও কেরলেরই আরেক মহিলা ফতিমা এএসের দায়ের করা একই ধরনের পিটিশনের আগামী সপ্তাহেই শুনানি করতে সম্মত হন। গতকালই আদালত সামনের সপ্তাহে ফতিমার পিটিশনের শুনানি করতে সম্মত হয়েছিল। বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন সিনিয়র আইনজীবী কলিন গনজালভেস।
গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর কেরলের পাহাড়ে অবস্থিত ওই মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে মেয়েদের ঢোকা নিষিদ্ধ করা আইন বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর কেরলের বাম সরকার সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করতে গেলে রাজ্যে ব্যাপক অসন্তোষ, হিংসা মাথাচাড়া দেয়।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আগের শবরীমালা রায় বৃহত্তর বেঞ্চে বিবেচনার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কেরল সরকার কট্টরপন্থী, রক্ষণশীল মহল, মন্দিরের পূজারীদের প্রবল আপত্তির মুখে ঠিক করেছে, তারা চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য অপেক্ষা করবে, যে মহিলারা অধিকার প্রয়োগ করে মন্দিরে প্রবেশ করতে চান, তাঁদের নিরাপত্তা দেবে না।
২০১৮র রায়ের রিভিউ চেয়ে পেশ হওয়া পিটিশনগুলির সুপ্রিম কোর্টে ফয়সালা হবে মুসলিম ও পার্সি মহিলা সংক্রান্ত একই বিষয়ের ওপর তিনটি অন্য মামলার নিষ্পত্তির পর।